বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে ‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকাঃ

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বাঙালি জাতির জীবনে সর্বাঙ্গীনভাবে একটি কালো দিবস।এই কালো দিনটিতেই জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, দেশের শ্রষ্ঠা, আবহমান বাংলা ও বাঙালির আরাধ্য পুরুষ,স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি,ইতিহাসের মহানায়ক,সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,জাতির জনক  বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে নৃশংসভাবে হত্যার মধ্য দিয়ে রচিত হয় এক কলঙ্কিত ইতিহাস।

 

যেদিন রাতে তিনি নিহত হয়েছিলেন ঠিক সেদিন সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ তাঁকে হারানো ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল।এ উপলক্ষে সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবর্ধনা নিতে আসার কথাও ছিল।ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে প্রতিবছর ১৫ আগস্ট বাঙালির হূদয়ে শোক আর কষ্টের দীর্ঘশ্বাস হয়ে ফিরে আসে।

 

এই সত্য ঘটনা অবলম্বনে‘মহামানবের দেশে’নামক গল্প লিখেছেন নাট্যকার ও গীতিকবি সহিদ রাহমান।গল্পটি‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’নামে নাট্যরূপ ও নির্দেশনা দিয়েছেন মান্নান হীরা।সম্প্রতি ঢাকার অদূরে পুবাইল ও উত্তরায় টানা ৭দিন শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে এই গল্পটির কাহিনি চিত্র নির্মিত হয়েছে।এতে অভিনয় করেছেন দেশের প্রখ্যাত দুই অভিনেতা তারিক আনাম খান ও ফজলুর রহমান বাবু।প্রধান নারী চরিত্রে রয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী শর্মিমালা।এছাড়া অভিনয় করেছেন মঞ্চের দাপুটে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী।কাহিনি চিত্রটি প্রসঙ্গে নাট্যকার সহিদ রাহমান বলেন,প্রতিটি বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অবদানের প্রতি ঋনী।সেই ঋন তো কোনদিন শোধ করার মত নয়,তবুও তার আদর্শ কতো তিব্রভাবে একদম সাধারন মানুষের মধ্যেও দেশের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়েছিল তা দেখানোর চেষ্টা করেছি।এটা বঙ্গবন্ধুর প্রতি ঋন শোধের অতি ক্ষূদ্রতম প্রয়াস আমার পক্ষ থেকে।

অভিনেতা তারিক আনাম খান বলেন,মুক্তিযুদ্ধের গল্পে অভিনয়কে শুধু অভিনয় নয়, দায়বদ্ধতা মনে করি।নিজে মুক্তিযুদ্ধ করেছি তাই এই কাহিনি চিত্রে কাজ করতে গিয়ে বার বার মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ে ফিরে গেছি।সহিদ রাহমান একটি সত্য ঘটনার সঙ্গে দারুন আবেগিক একটি গল্প লিখেছেন। আশাকরি কাহিনি চিত্র মানুষকে তাড়িত করবে।

শর্মিমালা বলেন,আমি তো মুক্তিযুদ্ধ দেখিনি।তাই সেই সময়ের গল্পে কাজ করতে গিয়ে বেশ পড়াশুনা করতে হয়েছে।একজন মুক্তিযোদ্ধা তাঁর প্রেমিকা বা স্ত্রীকে (আমাকে) ছেড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষন শুনে যুদ্ধে গেল এবং দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার জন্য গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে।খুবই আবেগিক গল্প, মন দিয়ে কাজ করেছি।আশা করছি দর্শক এই কাহিনি চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে নতুন মাত্রায় আবিষ্কার করবেন।‘ইতিহাসের কৃষ্ণপক্ষ’ কাহিনি চিত্রটি আসছে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী দিবস উপলক্ষে চ্যানেল আইতে রাত ৮ প্রচার হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ