প্রিয় নেত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে মানিক মিয়া এভিনিউতে জনসমুদ্র
বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (৩১ ডিসেম্বর) : দেশের প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে ঢাকামুখী হয়েছে সর্বস্তরের মানুষের ঢল। বাস, ট্রেন ও লঞ্চ—যে যেভাবে পারছেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই রাজধানীর পথে রওনা দেন লাখো মানুষ।
বুধবার সকাল হওয়ার আগেই সেই জনস্রোত গিয়ে মিলতে শুরু করে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানীতে আসার এই প্রবণতা শুরু হয়, যা মঙ্গলবার দুপুরের পর আরও তীব্র রূপ নেয়।
ভোলা, বরিশাল ও চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের নেতাকর্মীরা মঙ্গলবার রাতেই নদীপথে সদরঘাটে পৌঁছান। একই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ট্রেন ও বাসগুলোতেও ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সবার লক্ষ্য একটাই—জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা।
তীব্র শীত উপেক্ষা করে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই মানিক মিয়া এভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিতে শুরু করেন নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। অনেকেই ফুটপাতেই রাত কাটান প্রিয় নেত্রীর জানাজায় সামনের কাতারে থাকার আশায়। বুধবার সকাল হতেই সংসদ ভবন চত্বর ও আশপাশের সড়কগুলো লোকারণ্যে পরিণত হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমবেত মানুষের চোখেমুখে গভীর শোকের ছাপ। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে ভোর থেকেই মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। দল-মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষও শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সমবেত হচ্ছেন।
আজ বুধবার দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবন মাঠ ও মানিক মিয়া এভিনিউতে বেগম খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব জানাজায় ইমামতি করবেন। জানাজা শেষে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেরেবাংলা নগরে তাঁর স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন দেশের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। জীবনের শেষ সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা।
মনোয়ারুল হক/
