পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ককটেল বিস্ফোরণ ও ট্রাকে আগুন, আটক ২
নিজস্ব প্রতিবেদক (শরীয়তপুর), এবিসিনিউজবিডি, (১৩ নভেম্বর) : কার্যক্রম নিষিদ্ধ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘লকডাউন’ সফল করতে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা পদ্মা সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ সময় সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করা হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা গেছে, ‘লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকালে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ঢাকা–ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। নাওডোবা ও তস্তারকান্দি এলাকায় তারা অবস্থান নিয়ে মিছিল করেন। সকাল সাতটার দিকে তস্তারকান্দি এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় দুটি যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করা হয় এবং আন্দোলনকারীরা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়কে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধের কারণে জাজিরার জমাদ্দার মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, সকাল ছয়টা থেকে আটটা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। সেতুর এক কিলোমিটার পশ্চিমে সড়কে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় দুর্বৃত্তরা একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এ সময় দুইজনকে সন্দেহভাজন আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা ধারণা করা হচ্ছে ওই দুইজন আন্দোলনকারী। এখন আমাদের আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি আরও জানান, পদ্মা সেতুর দক্ষিণ থানার পুলিশ আটকে পড়া যানবাহনগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সাড়ে আটটার পর থেকে সীমিতভাবে যান চলাচল শুরু হয়।
শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, সকালে আন্দোলনকারীরা একটি ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়, পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে । যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
