২৫০ টাকার টেস্ট করাতে হচ্ছে হাজার টাকায়

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঠাকুরগাঁও), এবিসি নিউজ, (৮ অক্টোবর) : ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা। পরীক্ষায় ব্যবহৃত কেমিক্যাল রিএজেন্টের অভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ সেবাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ও গরিব রোগীরা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা সরকারি হাসপাতালে করলে মাত্র ২৫০ টাকায় করা যায়। কিন্তু এখন সেই পরীক্ষা বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে হচ্ছে। এতে একজন রোগীকে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।

ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যেমন সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্লোরাইড ও ক্যালশিয়ামের মাত্রা নির্ণয় করা হয়। এসব উপাদান শরীরে পানির ভারসাম্য, স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা এবং রক্তের অম্লত্ব ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত কিডনি সমস্যা, ডিহাইড্রেশন, দীর্ঘস্থায়ী বমি বা ডায়রিয়া এবং হৃদরোগের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হয়। শরীরের রাসায়নিক ভারসাম্য স্বাভাবিক আছে কি না, এ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া এলাকার দিনমজুর হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ডাক্তার ইলেক্ট্রোলাইট পরীক্ষা করতে বলছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে পরীক্ষা করা হয় না বলে বেসরকারি হাসপাতালে করতে গিয়েছিলাম সেখানে ৮০০ টাকা চেয়েছে। এত টাকা কোথায় পাব?’

একই অভিযোগ করেন সদর উপজেলার সালন্দর গ্রামের গৃহবধূ জোহরা বেগম। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী অসুস্থ। ডাক্তার ইলেক্ট্রোলাইট টেস্ট করতে বলছেন, কিন্তু এখানে হয় না। বাইরে করতে গেলে অনেক খরচ, যা আমাদের সাধ্যের বাইরে।’
হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) ফনিনদ্রনাথ মণ্ডল বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে ইলেক্ট্রোলাইট রিএজেন্ট পাওয়া যাচ্ছে না। গত টেন্ডারে চাহিদা দেওয়া হলেও কিছু জটিলতার কারণে সেটি কেনা সম্ভব হয়নি। এ কারণে রোগীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের ইনচার্জ ডা. জাহিন মিঠু বলেন, ‘গত বছর আমরা টেন্ডার করেছিলাম, একটি প্রতিষ্ঠান টেন্ডার পায়। কিন্তু তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেনি। আমরা তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো সুরাহা পাইনি। ফলে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ