আমরা একটা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি: মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (১৯ নভেম্বর) : ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা অস্থিরতার মধ্যে বাস করছি। এই অস্থিরতা থেকে যে মানুষগুলো আমাদেরকে পথ দেখাতে পারতেন, দিশা দেখাতে পারতেন– তাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ ছিলেন নিঃসন্দেহে অন্যতম। আমার দুঃখ হয়, তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার (শেখ হাসিনা) পতন দেখে যেতে পারেননি। যেটা তিনি আন্তরিকভাবেই দেখতে চেয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ রচিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মওদুদ আহমদের প্রতি স্মৃতিচারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাজের সঙ্গে আমি কিছুটা পরিচিত। আমার মনে আছে যে, ২০১২ সালে যখন আমরা (ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেলারেল অব. হান্নান শাহ, কর্নেল অলি আহমদ) প্রায় ১৭ জন প্রথম জেলে গেলাম একসঙ্গে- জেল তখন পুরানা নাজিমুদ্দিন রোডে। জেলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যে এন্ট্রি হয়, এন্ট্রি হওয়ার পরেই দেখলাম যে- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দ্রুতগতিতে ডিভিশন সেল থেকে এগোচ্ছেন। তার পিছনে পিছনে দেখলাম, মির্জা আব্বাসও দ্রুত যাচ্ছেন। আমি বুঝতে পারিনি। কারণ প্রথম আমি সেন্ট্রাল জেলে।
তিনি বলেন, আমার পাশে আবার আমান উল্লাহ আমান ছিলেন। আমি তাকে জিজ্ঞাস করলাম যে, ব্যারিস্টার মওদুদ এতো দ্রুত যাচ্ছেন কেনো? আমাকে বললেন, আপনি জানেন না। ওখানে একটা রুম আছে, রুম নাম্বার ওয়ান। ওখানে গিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ ঢুকে পড়লেন। ওখানে মির্জা আব্বাসও যেতে চান। অর্থাৎ উনি যতদিন জেলে থাকবেন, লেখার কাজে উনি পুরোপুরি নিজেকে নিয়োজিত করবেন। প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন ওই জেলে ছিলাম। দেখেছি, উনি খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেন, তারপরে তিনি লিখতে বসে যেতেন। উনি সারাদিন লেখতেন। শুধুমাত্র খাওয়ার সময় একটু বেরিয়ে আসতেন।
মওদুদ আহমদ আন্তরিকতার সঙ্গে এই ইতিহাস চর্চার কাজটা করতেন বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মওদুদ আহমদ এদেশের রাজনীতিতে সত্যিই একটা বিচিত্রধর্মী পুরুষ। সত্যিকার অর্থেই আন্তরিকভাবে একজন গণতান্ত্রিক নেতা ও সত্তা ছিলেন মওদুদ আহমদ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা ও বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
