বছরের শেষ দিকে গুলশান হামলার অভিযোগপত্র: মনিরুল

নিউজ ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ২০১৭ সালের শেষ দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় করা মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে মনিরুল এ কথা বলেন।
হলি আর্টিজান হামলা প্রসঙ্গে মনিরুল বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০-২২ জনের সরাসরি সম্পৃক্ততার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জন নিহত হয়েছে। তবে জড়িত ব্যক্তির মোট সংখ্যা ৩০ থেকে ৩৫ জন হতে পারে।
গত বছরের ১ জুলাই রাতে গুলশানে ওই সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হন। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশি, তিনজন বাংলাদেশি (একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন)।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর সেনপাড়া পর্বতা এলাকা থেকে নব্য জেএমবির কথিত আধ্যাত্মিক নেতা ও আমির মাওলানা মো. আবুল কাসেমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ নিয়ে আজ এক সংবাদ ব্রিফিং করেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল।
মনিরুল বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন কাসেম। তবে এই হামলায় তাঁর সম্পৃক্ততা কোন পর্যায়ের তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান বলেন, জেএমবির শীর্ষ নেতা মাওলানা সাইদুর রহমান ২০১০ সালে গ্রেপ্তার হন। এরপর কাসেম জেএমবির বিদ্রোহী অংশের (নব্য জেএমবি) আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি তাঁর নিজস্ব মনগড়া ধর্মীয় মতবাদ দিয়ে নব্য জেএমবিকে হিংস্র করে তোলেন।

মনিরুল বলেন, নব্য জেএমবির শীর্ষস্থানীয় নেতা তামিম চৌধুরী ২০১৩ সালে কানাডা থেকে আসার পর রাজশাহীতে যে বৈঠক করেছিলেন, সেখানে কাসেম উপস্থিত ছিলেন। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে কাসেমের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তবে জাহাঙ্গীরের দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। সর্বশেষ নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী চক্রের প্রধান মো. মিজান ওরফে বড় মিজান গ্রেপ্তারের পর কাসেমের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ