দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (১৪ ডিসেম্বর) : দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও রিটার্নিং অফিসারসহ দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মহাপুলিশ পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে এ সংক্রান্ত আলাদা আলাদা চিঠি পাঠানো হয়।

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে। গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন তফসিল ঘোষণা করেছেন।

তফসিল ঘোষণার পরদিনই ঢাকায় একজন সম্ভাব্য প্রার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিরাপত্তা জোরদারের উদ্যোগ নিল সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসির এক কর্মকর্তা বলেন, চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবের ‘পুলিশ এসকর্ট’ বাড়ানো; ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা রিটার্নিং অফিসারদের জন্য ‘গানম্যান’ নিয়োগ ও অন্য রিটার্নিং অফিসারদের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং সারা দেশের নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনার আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহাপুলিশ পরিদর্শক, ডিএমপি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে শুক্রবার ও শনিবার আলোচনা করেছেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। সময়সূচি জারির পর দুর্বৃত্তরা জেলা নির্বাচন অফিস, লক্ষ্মীপুর এবং উপজেলা নির্বাচন অফিস, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুরে অগ্নিসংযোগ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশে মাঠ পর্যায়ের আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস এবং উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহে নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামাল, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে বিধায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি ও নির্বাচনী মালামালের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে।’

এতে আরও বলা হয়, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসসমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য গাড়িসহ পুলিশি পাহারা থাকলেও নির্বাচনকালীন তার জন্য অতিরিক্ত আরও একটি গাড়িসহ ‘পুলিশি এসকর্ট’ প্রয়োজন।

এ ছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের ঢাকাস্থ বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য গাড়িসহ ‘পুলিশি এসকর্ট’ প্রয়োজন।

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ