সিইসি ও চার কমিশনারের বাড়তি নিরাপত্তায় ডিএমপিকে ইসির চিঠি

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (১৪ ডিসেম্বর) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন, সংস্থার চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের জন্য বাড়তি পুলিশি নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন দায়িত্ব নির্বিঘ্ন ও নিরাপদভাবে পালনের স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশি এসকর্ট প্রদানের অনুরোধ করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি, অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

চিঠির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য একটি গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট বিদ্যমান থাকলেও, নির্বাচনকালীন সময়ে তার জন্য অতিরিক্ত আরও একটি গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট প্রয়োজন। একই সঙ্গে চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবের জন্য ঢাকায় তাদের বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নির্বাচনকালীন সময় অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় এই কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। দায়িত্ব পালনকালে কোনো ধরনের ঝুঁকি বা বিঘ্ন এড়াতে এসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং জুলাই মাসে জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে গণভোটও অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা চলবে।

ইসির তফসিল ঘোষণার একদিন পরই, গত শুক্রবার রাজধানীতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনার পর নির্বাচন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়টি আরও গুরুত্ব পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।

মনোয়ারুল হক/