নির্বাচনে প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা নির্ধারিত হবে যেভাবে

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (১২ ডিসেম্বর) : ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী সময়সূচি জারি, সময়সূচির প্রজ্ঞাপন ও গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নির্বাচনী ব্যয় ইত্যাদি নানা বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে একজন প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা কীভাবে নিরূপণ করা হবে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে যে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২(১) এর উপ-দফা (কক) অনুযায়ী একজন প্রার্থী আদালত কর্তৃক ফেরারি বা পলাতক আসামি হিসেবে ঘোষিত হয়ে থাকলে, বা উপ-দফা (গ) অনুযায়ী তিনি প্রজাতন্ত্রের বা কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কাজে কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সেই সঙ্গে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২(১) এর উপ-দফা (ড) অনুযায়ী- ‘তিনি যদি কোম্পানির পরিচালক বা ফার্মের অংশীদার হন [যাহা] কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত কোন ঋণ বা তার কোন কিস্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের পূর্বে পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে অযোগ্য হবেন।’

সেইসঙ্গে, একই আদেশের অনুচ্ছেদ ১২ এর দফা (১) এর উপ-দফা (ঠ) অনুসারে কৃষি কাজের জন্য নেয়া ক্ষুদ্র কৃষি ঋণ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের পূর্বে ব্যাংক হতে নেয়া কোন ঋণ বা তার কোন কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য অযোগ্য বলে ঘোষিত হবেন।

এতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে অনুচ্ছেদ ১২ এর উপ-দফা (ঢ) অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের দিনের আগে সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্য কোন সেবা প্রদানকারী সংস্থার বিল পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলেও সেই ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হবার অযোগ্য বলে গণ্য হবেন।

সবশেষে পরিপত্র তে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, গণ প্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১২(৩খ) উপ-দফা (২) এর অধীন প্রত্যেক মনোনয়নপত্রের সহিত প্রার্থীর দ্বারা স্বাক্ষরিত একটি হলফনামার সঙ্গে সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের কপি সংযুক্ত করে দাখিল করতে হবে।

এসব বিধানসমূহ স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে, এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতেও এ বিষয়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ছয়টায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন এবং নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।

এরপর পরপরই নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নানা পরিপত্র জারি করতে শুরু করে নির্বাচন কমিশন।

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ