২০ দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (৯ ডিসেম্বর) : নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত ২০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট (এনডিএফ) নামে নতুন একটি রাজনৈতিক মোর্চার আত্মপ্রকাশ হয়েছে।

জাতীয় পার্টি- জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় পার্টির সাবেক সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে চেয়ারম্যান ও জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মুখপাত্র করে ২০টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে নতুন এই রাজনৈতিক জোট।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই জোটের ঘোষণা দেন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জোটে ছয়টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে।

এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর টিম ডাকেট, মার্কিন দূতাবাস প্রতিনিধি কামরুল হাসান খান, ব্রুনাই মিশন প্রধান রোজাইমি আবদুল্লাহ, ভারতীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) পূজা ঝা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পার্টি (জাপা) থেকে বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কৃত নেতাদের এই জোটে শরিক হয়েছে জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মতিন), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জাতীয় ইসলামিক মহাজোট, জাতীয় সংস্কার জোট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, স্বাধীন পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টি, অ্যাপ্লায়েড ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং বাংলাদেশ জাতীয় লীগ।

লিখিত বক্তব্যে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার সমন্বয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্রসংস্কার, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মধ্যপন্থার উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বেগবান করার লক্ষ্যে আমাদের এই জোট যাত্রা শুরু করল। আমরা বাংলাদেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক রূপান্তর, বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করতে চাই। পাশাপাশি  ইসলামি মূল্যবোধ এবং সর্বধর্ম সম্প্রীতিতে বিশ্বাস রেখে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রবর্তন, ফ্যাসিবাদের চির অবসান এবং সুশাসনপ্রত্যাশী জনগণের ম্রিয়মাণ কণ্ঠস্বরকে সোচ্চার করতে চাই।’

লিখিত বক্তব্যে এনডিএফ জোটের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এই দাবিগুলো হলো- অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী দুই মাসে নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারে পরিণত হতে হবে। হয়রানিমূলক মামলা তুলে নিয়ে ভোটে অংশগ্রহণের সমান সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি ভয়হীন, নিরাপদ ও কার্যকর রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ-যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিত্যপণ্যের দাম কমাতে হবে। স্বনির্ভর অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ওপর জরুরি ভিত্তিতে মনোযোগ দিতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত এবং বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

এদিকে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (মতিন) মহাসচিব জাফর আহমেদ জয় খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের নাম ঘোষণা করা হলেও আমরা এই জোটে নেই। আমরা এই জোটের সঙ্গে যাচ্ছি না।’

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ