আসন বণ্টনে শরিকদের ১২ জনকে ‘সবুজ সংকেত’দিল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (৯ অক্টোবর) : নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন বণ্টন প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিএনপি। ইতোমধ্যে মিত্র দলগুলোর ১২ জনকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে দলটি। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার টেবিলে সমঝোতার মাধ্যমে আরও কয়েকটি আসন শরিকদের ছাড় দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গেও আসন সমঝোতা বা জোট গঠনের ব্যাপারে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। তবে এই জোট হবে কি না, তার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দলগুলো।

নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানাচ্ছে, সরকারি ও বেসরকারি মোট সাতটি মাধ্যম থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ইতোমধ্যে ১২ জনকে নির্বাচন করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন তিনি। সূত্রের দাবি, পিরোজপুর-১ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বগুড়া-৪ আসনে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ঢাকা-১৩ আসনে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুক, কুমিল্লা-৭ আসনে দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, নড়াইল-২ আসনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পটুয়াখালী-৩ আসনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, ঝিনাইদহ-২ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান সবুজ সংকেত পেয়েছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের শরিকদের মধ্যে জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব শারীরিক অসুস্থতার জন্য এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন না। তা ছাড়া ওই আসনে বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে ইতোমধ্যে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে রবের স্ত্রী জেএসডির সহসভাপতি তানিয়া রবকে ঢাকার উত্তরার একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেখা যেতে পারে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন এ আসনটি ছাড়তে চাইছেন না। কারণ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে বৃহত্তর রাজনীতির স্বার্থে বিএনপি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরকে ওই আসনটি দিতে চাইছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, জোট গঠন ও মিত্র আসন ছাড়ের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা চলছে। পুরো বিষয়টি দেখছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

সূত্র জানায়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ১৩ জন, ১২-দলীয় জোট ২০ জন, জাতীয়তবাদী সমমনা জোট ৯ জন, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ১০ জন এবং লেবার পার্টি ৬ জনের নামের তালিকা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছে। এদের বাইরে গণফোরাম ১৫ জনের সম্ভাব্য প্রার্থীর একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এই তালিকা বিএনপির কাছে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদ ২০টিরও বেশি করে আসন চাইছে। সব মিলিয়ে বিএনপির কাছে শতাধিক আসন চায় মিত্ররা।

২০১৮ সালের নির্বাচনে মিত্রদের ৫৮টি আসন ছাড় দিলেও এবার তার অর্ধেকের মতো দিতে চায় বিএনপি। কারণ ওই নির্বাচনে শুধু জামায়াতকেই বিএনপি ২২টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল। জানা গেছে, এনসিপি বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিলে তাদের ২০-২৫ আসনে ছাড় দিতে পারে। তবে শরিকদের মধ্যে যাদের এবার মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাদের সংসদের উচ্চকক্ষে মূল্যায়নের চেষ্টা করবে বিএনপি।

যেসব তালিকা দিয়েছে শরিকরা
গণতন্ত্র মঞ্চের দলগুলোর মধ্যে ঢাকা-৮ আসনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামালপুর-৫ আসনে ভাসানী জনশক্তি পার্টির সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম এবং ফেনী-৩ আসনে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ আরও কয়েকজন বিএনপির কাছে ছাড় চাইছেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, মঞ্চের নেতারা ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করেছেন। এরপর বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসে জোট গঠনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

১২-দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, মৌলভীবাজার-২ আসনে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নবাব আলী আব্বাস খান, যশোর-৫ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা রশীদ বিন ওয়াক্কাস, ঢাকা-৫ আসনে এলডিপি মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটুসহ ২০ জনের তালিকা বিএনপির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি যুগপৎ মিত্রদের নিয়ে জোট গঠনের ব্যাপারে ইতিবাচক। জামায়াত ও এনসিপিও পৃথক জোট গঠন করতে চাইছে। ফলে বিএনপি বৃহত্তর জোট গঠনের পথে এগোচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে ছিলাম এবং আগামী দিনেও থাকব।’ 

এলডিপির পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ-১০ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ, চট্টগ্রাম-৭ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম-৩ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জেনারেল (অব.) ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী (বীর বিক্রম), চট্টগ্রাম-১২ আসনে শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এম এয়াকুব আলী, ময়মনসিংহ-৮ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, জয়পুরহাট-২ আসনে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক কারিমা খাতুন, চাঁদপুর-৫ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশিরসহ ১৫ জনের তালিকা বিএনপির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

গণফোরামের পক্ষ থেকে ঢাকা-৬ আসনে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, মাগুরা-১ আসনে দলটির সাধারণ সম্পাদক ডা. মিজানুর রহমান, নরসিংদী-৩ আসনে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, ঢাকা-৫ আসনে অ্যাডভোকেট এস এম আলতাফ হোসেন, চাঁদপুর-৩ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর, কুমিল্লা-৩ আসনে মোস্তাক আহমেদ, ময়মনসিংহ-৯ আসনে লতিফুল বারী হামিম, পটুয়াখালী-২ আসনে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধুসহ ১৫ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করেছে গণফোরাম। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের পক্ষ থেকে বগুড়া-১ আসনে খন্দকার লুৎফর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, চট্টগ্রাম-১ আসনে গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মওলাসহ ৯ জনের তালিকা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছে।

ঝালকাঠি-১ আসনে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ফরিদপুর-১ আসনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, গাজীপুর-৫ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, ঢাকা-৭ আসনে ভাইস চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুঁইসহ ছয়জনের তালিকা জমা দিয়েছে দলটি। ঢাকা-৫ আসনে বিজেপির মহাসচিব আব্দুল মতিন সাউদ; রাজবাড়ী-২ আসনে এনডিএম মহাসচিব মোমিনুল আমিন; ঠাকুরগাঁও-২ আসনে সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান ও নেত্রকোনা-২ আসনে সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বিএনপির কাছে আসন ছাড় চাইছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুগপৎ আন্দোলনের একজন সমন্বয়কারী বলেন, আসন সমঝোতা নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের দলগুলোর সঙ্গে বিএনপি আলোচনা করছে। তারা দলগুলোর কাছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা চেয়েছে। কয়েকটি দল ২০-৩০ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছে। কয়েকটি দলকে ঢাকা থেকে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই আসন ছাড় বা জোট গঠনের ব্যাপারে দলগুলো সমাধান করবে।

তিনি আরও বলেন, তালিকা দেওয়া মানে জোট গঠনের বিষয়টা ঝুলিয়ে রাখার মতো। কারণ শরিকদের বেশি আসন না ছাড়ার জন্য বিএনপির ওপর তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাপ রয়েছে। যেসব আসনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, সেই সব আসনে তৃণমূলের প্রার্থীদের লাগাম টানার পরামর্শ দেন এই নেতা।

বিএনপির সঙ্গে এনসিপির অনানুষ্ঠানিক আলোচনা
এদিকে বিএনপি ও এনসিপির মধ্যে জোট গঠনের বিষয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। জোট গঠনের ব্যাপারটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখছে বিএনপি। এ ছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি, এনসিপি, এবি পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে এনসিপি। দলগুলো নিজেদের মধ্যেও অনানুষ্ঠানিক একাধিক বৈঠক করেছে। তবে জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠন করতে অনাগ্রহী এনসিপি। গণতন্ত্র মঞ্চ ও গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকেই বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল। ফলে এনসিপিসহ এই দলগুলোকে একসঙ্গে বিএনপির জোটে দেখা যেতে পারে।

তবে এনসিপির অনেকে বলছেন, তারা বিএনপি বা জামায়াত কোনো জোটেই যাবে না। আলাদা জোট গঠন করে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির একাধিক নেতা এও বলছেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই। নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত জয়লাভ করতে হলে জোট গঠনের বিকল্প নেই বলে তারা উল্লেখ করেন।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, ‘যদি নতুন কোনো জোট হয় তাহলে এনসিপির নেতৃত্বেই হবে। আমরা বিএনপির সঙ্গে জোট করছি এটা রিউমার। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে ছিল ছাত্ররা। তারা আসন ভাগাভাগির বিষয়টি সমর্থন করে না।’

কোনো দলকে সমর্থন দেবে না হেফাজত 
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সালাম পৌঁছে দিতে গত ১ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে ফটিকছড়িতে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। জানা গেছে, হেফাজতের একটি অংশের বিএনপিকে ও আরেকটি অংশের ইসলামী জোটকে সমর্থন দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে। এ প্রশ্নে সংগঠনের মধ্যে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। তবে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হেফাজত সরাসরি কাউকে সমর্থন দেবে না বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী।

তিনি বলেন, হেফাজত কোনো দলকে সমর্থন দেবে না। যাদের বিএনপির প্রতি দুর্বলতা আছে তারা বিএনপিকে ভোট দেবে, আর যাদের জামায়াতের প্রতি দুর্বলতা আছে তারা জামায়াতকে ভোট দেবে। কোনো দলকে সরাসরি সমর্থন দিলে তখন তো রাজনৈতিক সংগঠন হয়ে যাবে।

২০১৮ সালের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট’কে ১৯টি আসন এবং ২০-দলীয় মিত্রদের ৩৯টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। এর মধ্যে জামায়াতকে ২২টি আসনে ছাড় দেওয়া হয়। এবার জামায়তের নেতৃত্বে ‘ইসলামী জোট’ গঠনের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ