টাইফয়েডের টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (৭ অক্টোবর) : টাইফয়েডের টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শাহবাগে শহিদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) শাহবাগে শহিদ আবু সাঈদ কনভেনশন সেন্টারে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে এই টিকাদান শুরু হবে। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়ার টার্গেট। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করব। মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারি (প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদা) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হলো টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়তো রেগুলার টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে৷ আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও আলোচনা করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের এই পুরো প্রক্রিয়াতে সহযোগিতা করছেন- গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) এবং ইউনিসেফ। ইতোমধ্যে প্রায় দুই কোটি নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। টিকাদানের সময় নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু আসলেও টিকা পাবে। তবে, নিবন্ধনে উৎসাহিত করছে কর্তৃপক্ষ।