মহাকাশে স্থাপিত হবে বিশাল সব ডেটা সেন্টার, যেসব সুবিধা মিলবে
আইটি ডেস্ক, এবিসি নিউজ, ঢাকা (৪ অক্টোবর) : আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মহাকাশে গিগাওয়াট স্কেলের ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে। নিরবচ্ছিন্ন সৌরশক্তির প্রাচুর্য্যের কারণে এই মহাকাশভিত্তিক ডেটা সেন্টারগুলো শেষ পর্যন্ত পৃথিবীভিত্তিক ডেটা সেন্টারের চেয়েও উন্নত পারফরম্যান্স দেবে।
এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান জেফ বেজোস।
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশাল ডেটা সেন্টারের সংখ্যাও দ্রুত বাড়ছে। সার্ভার ঠান্ডা রাখার জন্য বিদ্যুৎ ও পানির চাহিদা ক্রমশ বাড়তে থাকায় মহাকাশে ডেটা সেন্টার তৈরির ধারণা বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
গতকাল শুক্রবার ইতালীয় টেক উইকে ফেরারির চেয়ারম্যান জন এলকানের সঙ্গে এক আলোচনায় বেজোস বলেন, ‘আগামী ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আমরা এই বিশাল গিগাওয়াট ডেটা সেন্টারগুলো মহাকাশে তৈরি শুরু করব।’
বেজোসের মতে, মহাকাশভিত্তিক অবকাঠামো তৈরির মূল কারণ হলো পৃথিবীতে দ্রুত বেড়ে চলা জ্বালানি ও শীতলীকরণের চাহিদা। তিনি বলেন, ‘এই বিশাল (এআই) প্রশিক্ষণ ক্লাস্টারগুলো মহাকাশে তৈরি করলে আরও ভালো হবে, কারণ সেখানে সার্বক্ষণিক সৌরবিদ্যুৎ পাওয়া যায়। সেখানে কোনো মেঘ, বৃষ্টি বা আবহাওয়ার বাধা নেই।’ বেজোস দৃঢ়তার সঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী করেন, ‘আগামী কয়েক দশকের মধ্যে আমরা মহাকাশে ভূপৃষ্ঠের ডেটা সেন্টারগুলোর খরচের চেয়েও কম খরচে পরিষেবা দিতে সক্ষম হব।’
বেজোস আরও জানান, মহাকাশ অবকাঠামোর দিকে এই পরিবর্তন পৃথিবীতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়ার অংশ। তিনি উদাহরণ দেন, আবহাওয়া ও যোগাযোগ স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই এটি ঘটেছে। পরবর্তী ধাপ হবে ডেটা সেন্টার এবং এরপর অন্যান্য ধরনের উৎপাদনব্যবস্থা।
তবে, মহাকাশে ডেটা সেন্টার স্থাপনের কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: যেকোনো ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ও আপগ্রেড করার কঠিন প্রক্রিয়া; রকেট উৎক্ষেপণের উচ্চ খরচ এবং ব্যর্থ উৎক্ষেপণের ঝুঁকি।