৩ মার্কিন গবেষক পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পেলেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, এবিসি নিউজ, (৭ অক্টোবর) : ২০২৫ সালের পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন গবেষক— জন ক্লার্ক, মিশেল এইচ ডেভোরেট এবং জন এম মার্টিনিস।
আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সুইডেনের রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে।
নোবেল কমিটির ভাষ্য অনুযায়ী, এ তিন বিজ্ঞানী বৈদ্যুতিক বর্তনীর মধ্যে কোয়ান্টাম টানেলিং এবং শক্তির কোয়ান্টাইজেশন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কার কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স থেকে বাস্তব প্রযুক্তিতে
এ বছরের নোবেল পুরস্কার মূলত এমন গবেষণাকে সম্মানিত করেছে, যা দেখিয়েছে— কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বিচিত্র ও অণু-পরমাণু স্তরের গুণাবলী কীভাবে বাস্তব প্রযুক্তিতে প্রয়োগ করা সম্ভব।
পুরস্কারপ্রাপ্ত গবেষকরা এমন একটি অতিপরিবাহী বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা তৈরি করেছেন, যা একটি কোয়ান্টাম অবস্থা থেকে আরেকটিতে সরাসরি ‘টানেলিং’ করে যেতে পারে—যেটি একটি বস্তু দেয়াল ভেদ করে চলে যাওয়ার মতোই এক অদ্ভুত ধারণা।
তারা আরও দেখিয়েছেন, এই ব্যবস্থা নির্দিষ্ট মাত্রায় শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে, যা কোয়ান্টাম তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।
নোবেলের ইতিহাসে আরও কিছু তথ্য
২০২৪ সালে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্ক ও মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কারের জন্য পদার্থে নোবেল পেয়েছিলেন জন জে হোপফিল্ড ও জিওফ্রি ই. হিন্টন।
২০২৩ সালে যৌথভাবে পদক জিতেছিলেন পিয়ের অগস্টিনি (যুক্তরাষ্ট্র), ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ (হাঙ্গেরি) ও অ্যানে এলহুইলার (ফ্রান্স)—তাদের গবেষণার বিষয় ছিল ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।
সবচেয়ে বেশি বয়সে পদার্থে নোবেল জেতেন আর্থার আসকিন— ২০১৮ সালে, ৯৬ বছর বয়সে।
উল্লেখ্য, সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল বিজয়ী ছিলেন লরেন্স ব্রেগ, যিনি ১৯১৫ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে পদক পেয়েছিলেন। জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুইবার পদার্থে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।