বাংলাদেশে বিমানবন্দর নিরাপত্তা জোরদারে বেবিচক কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (১২ নভেম্বর) : দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) দেশের সব আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছে।
বেবিচক সদস্য (অপারেশনস ও পরিকল্পনা) এয়ার কমোডর আবু সাঈদ মাহবুব খান আজ বাসসকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো নির্দিষ্ট নিরাপত্তা হুমকি নেই, তবে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আজ জারি করা এক অফিস আদেশে বেবিচক সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর মো. আসিফ ইকবাল দেশের সব বিমানবন্দরের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের ‘কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন (কেপিআই)’ নিরাপত্তা নীতিমালা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন এবং যাত্রী নিরাপত্তা ও কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনায় বিমানবন্দরের প্রবেশপথ ও অপারেশনাল এলাকাগুলোতে কঠোর তদারকি, সংরক্ষিত ও প্রাচীর এলাকায় টহল বৃদ্ধি এবং ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কেবলমাত্র বিমানবন্দর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অনুমোদিত যাত্রীরাই বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন। সাধারণ জনগণের প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
সব যাত্রী, ক্যাবিন ব্যাগেজ, কার্গো ও যানবাহনকে যথাযথ স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে। টার্মিনাল ও কার্যকর এলাকাগুলোতে নিয়মিতভাবে গতানুগতিক তল্লাশির বাইরেও নিরাপত্তা তল্লাশি চালানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা সরঞ্জাম- যেমন স্ক্যানার, বিস্ফোরক শনাক্তকরণ ব্যবস্থা (ইডিএস), বিস্ফোরক ট্রেস ডিটেক্টর (ইটিডি), মেটাল ডিটেক্টর এবং সিসিটিভি-প্রতিদিন পরীক্ষা করে কার্যকারিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিমানবন্দর নিরাপত্তা কর্মীদের সবসময় সতর্ক থাকতে, নিয়মিত ব্রিফিং নিতে এবং সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলা হয়েছে।
নির্দেশনায় গ্যাস ও বৈদ্যুতিক লাইনের নিয়মিত ঝুঁকি মূল্যায়ন এবং সার্বক্ষণিক নজরদারি ও সতর্কতা বজায় রাখার জন্যও বিমানবন্দর ব্যবস্থাপনাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেবিচক সব বিমানবন্দর পরিচালককে নির্দেশনা পাওয়ার তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে।
