তীব্র শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, নীলফামারীতে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক (নীলফামারী), এবিসিনিউজবিডি, (২৮ ডিসেম্বর) : উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। নীলফামারীতে রোববার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। দিনের বড় একটি সময় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় সূর্যের তাপ না পাওয়ায় শীতের প্রকোপ বেড়েছে কয়েক গুণ। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকছে সড়ক-মহাসড়ক, ফলে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালক ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘরের বাইরে বের হলেও পর্যাপ্ত যাত্রী ও কাজ না থাকায় অনেকেই পড়ছেন বিপাকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের না হওয়ায় শহরের সড়ক, বাজার ও বিপণিবিতানগুলোতেও দেখা যাচ্ছে কম উপস্থিতি। সরকারি-বেসরকারি অফিসে উপস্থিতি থাকলেও কাজের গতি অনেকটাই মন্থর।

শীতের প্রভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিও বাড়ছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা এ সময় প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া এবং গরম কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন।

ডিমলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সামনের দিনগুলোতে শীত ও কুয়াশার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে ভোগান্তি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, এবার শীত মোকাবেলায় ছয় উপজেলায় ৩৬ লাখ টাকা ও ৭ হাজার ৫০০ কম্বল বরাদ্দ এসেছে। শীত মোকাবিলায় প্রয়োজনে আরও শীত বস্ত্রের জন্য আবার আবেদন করা হবে।

তীব্র শৈত্যপ্রবাহের এই সময়ে দ্রুত ও সঠিকভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানো না গেলে দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ