সিলেটের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত, কর্মবিরতিতে ১০ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেট), এবিসিনিউজবিডি, (১ ডিসেম্বর) : চলমান বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত রেখে চার দফা দাবিতে সিলেট জেলার ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।
সহকারী শিক্ষক পদের ক্যাডারভুক্তিসহ চার দফা দাবিতে সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
এদিকে সকালে পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ পেয়ে বাসায় ফিরেছে শত শত শিক্ষার্থী। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। পরীক্ষা স্থগিত থাকায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকদের কোনো দাবি থাকলে সেটা তারা পরীক্ষার আগে কেন আন্দোলন করলেন না? এখন বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন কেন তারা শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এমন কর্মসূচি করবেন? পরীক্ষা বন্ধ রেখে দাবি আদায়ের এ চর্চা নিন্দনীয়। এতে আমাদের বাচ্চাদের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মুখে পড়ছে। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করে পরীক্ষা চালু করা উচিত।
মাধ্যমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ, বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড মঞ্জুরি, এবং ২০১৫ সালের আগের মতো ২–৩টি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন সুবিধা পুনর্বহাল করে গেজেট প্রকাশ।
এ বিষয়ে সিলেট সরকারি অগ্রগামী স্কুল অ্যান্ড কলেজের গণিত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক আলী মর্তুজা জানিয়েছেন, তিন দিনব্যাপী এই কর্মবিরতির সময় সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে। দাবি আদায় হলে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ খবরের কাগজকে বলেন, সিলেট জেলার ১০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালনের খবর আমরা পেয়েছি। এটি শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। আমরা বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে জানিয়েছি। যেহেতু শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলছে, তাই এ সময়ে এ ধরনের কর্মসূচি পালন অবশ্যই দুঃখজনক।
মনোয়ারুল হক/
