ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া দন্ড বাতিল হবে, অধ্যাদেশ সংশোধন হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), আলোকিত সময়, (৯ অক্টোবর) : সরকার আবারও সংশোধন করছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কয়েকটি ধারায় কারও দণ্ড হয়ে থাকলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া বাতিল হবে তদন্তাধীন মামলাও।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকটি তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন হওয়া খসড়ায় বলা হয়, রহিত করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারাগুলোর অপরাধ সংঘটনে সহায়তার অপরাধে কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালে নিষ্পন্নাধীন কোনো মামলা বা অন্যান্য কার্যধারা অথবা পুলিশ কর্মকর্তা বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্তাধীন মামলা বা কার্যক্রম বাতিল হবে এবং এ বিষয়ে আর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। এ ছাড়া ওই ধারাগুলোর অধীন কোনো আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ড ও জরিমানা বাতিল বলে গণ্য হবে।

এদিকে, আর্থিক সংকটাপন্ন ইসলামিক শরিয়াভিত্তিক পাঁচ বেসরকারি ব্যাংক একীভূত করে একটি ব্যাংক করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। নতুন ব্যাংকের জন্য দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি হলো- ইউনাইটেড ইসলামিক ব্যাংক, অপরটি হলো সম্মিলিত ইসলামিক ব্যাংক।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ব্যাংকগুলো একীভূত করার ফলে কেউ চাকরি হারাবেন না এবং কোনো আমানতকারীও তার আমানত হারাবেন না।

যে পাঁচটি ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন ব্যাংক হবে সেগুলো হচ্ছে- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক এবং ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। আইসিবি ব্যাংক এই তালিকায় থাকলেও শেয়ার মালিকানা বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা চলমান থাকার কারণে সেটিকে এই প্রক্রিয়ার বাইরে রাখা হয়েছে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ