‘ভারতীয় অ্যাম্বাসিতে পাসপোর্ট জমা না দিয়ে আমেরিকা চলে যান তানজিন তিশা’
বিনোদন প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (২৭ নভেম্বর) : ক’দিন ধরেই মডেল-অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে কেন্দ্র করে দেশীয় শোবিজে বিব্রতকর এক ঘটনা চলছে। অভিযোগ, কলকাতার একটি ছবির জন্য অগ্রিম দেওয়া ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিলেও কাজ না করে আমেরিকা চলে গেছেন তিনি।
প্রথম অভিযোগটি তুলেছেন প্রযোজক হিসেবে পরিচয় দেওয়া শরীফ খান। তার দাবি, কলকাতার ‘ভালোবাসার মরশুম’ শিরোনামের ছবির জন্য তিশা নাকি কাজ না করেও অগ্রিম টাকা ফেরত দিচ্ছেন না।
কিন্তু তিশা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, শরীফ ওই ছবির কোনো প্রযোজক নন।
এবার ছবির পরিচালক এমএন রাজ মুখ খুলেছেন বিষয়টি নিয়ে। তিনি স্পষ্ট করে ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিশা ভুল বিবৃতি দিচ্ছেন।’ পরিচালকের দাবি, তিশাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।
কাজ না করায় সেই টাকা তাকে ফেরত দিতেই হবে। এক সাক্ষাৎকারে এমএন রাজ বলেন, ‘আমি অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ভেতরে ভেতরে কী হয়েছে জানতাম না। কিন্তু যেহেতু তিশাকে টাকা দেওয়া হয়েছে, সে অবশ্যই ফেরত দেবে।
কোনো চুক্তিপত্রে টাকা ফেরতের বিষয় লেখা থাকে না। এটা নিয়মই নয়। সে কাজ করেনি, কিছু টাকা তো ফেরত দিতেই হবে।’
পরিচালক আরো জানান, তারা তিশার জন্য এক মাস অপেক্ষা করেছেন। এমনকি ছবির অন্য গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীর (বলিউড অভিনেতা শারমান যোশি) শিডিউল বদলাতে হয়েছে।
তাঁর ভাষ্য, ‘তিশার জন্য অনুরোধ করে শারমানের তারিখ বদলেছি। কিন্তু তিশা অ্যাম্বাসিতে গিয়ে পাসপোর্টটাও জমা দেয়নি; সে আমেরিকায় চলে যায়। আমি শুধু বলেছিলাম, পাসপোর্ট জমা দাও, তারপর যাও।’
এম এন রাজের দাবি, নির্ধারিত দিন সকাল ৯টায় অ্যাম্বাসিতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিশা এক ঘণ্টা দেরিতে যান এবং পরে অপমানজনক ভঙ্গিতে আচরণ করেন, ‘আই ডোন্ট কেয়ার অ্যাবাউট ইট’। পরিচালক বলেন, ‘টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ভিসা স্লট ঢুকছিল না, কিন্তু তিশা নিজে সক্রিয় ছিল না।’
তবে এ বিষয়ে তিশার পাল্টা বিবৃতি রয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাতে অভিনেত্রী নিজের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, ‘এই ছবির কারণে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’ তিশার দাবি, উল্টো তিনি দুই মাস অপেক্ষা করেছেন; শুটিং শুরুর কথা থাকলেও পরিচালক প্রস্তুত ছিলেন না। অতএব নিজে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন।
এমএন রাজ আরো বলেন, ‘আমরা সেপ্টেম্বরের ১৭-১৮ ও ১৯ তারিখ নায়িকা ছাড়াই শুট করেছি; দুর্গাপূজার আগে পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি; এরপর বাধ্য হয়ে নতুন নায়িকা নিয়েছি।’ তিনি মনে করছেন, এখন তিশার দেওয়া বিবৃতিই ভুল বা অসঙ্গতিপূর্ণ।
মনোয়ারুল হক/
