‘দেশের ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে গেছেন’ বিসিবি সভাপতি বুলবুল
ক্রীড়া প্রতিবেদক, এবিসি নিউজ, ঢাকা (৭ অক্টোবর) : বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তবে বিসিবি’র সভাপতি হয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন ‘টি-টোয়েন্টি’ খেলার। কিন্তু নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ‘টেস্ট’ দলেই নাম লেখালেন তিনি।
শুরুটা হয়েছিল তিন মাসের জন্য। ধারণা করা হচ্ছিলো হয়তো নির্বাচন দিয়েই কেটে পড়বেন তিনি। তবে এরপর হঠাৎ সব বদলে গেল, হয়ে গেলেন প্রার্থী। অনেক সমালোচনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বনে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি।
মোটা বেতনে আইসিসির চাকরি করতেন আমিনুল, পরিবারের সাথে থাকতেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেসব ছেড়ে কেন নিজেকে সঁপে দিলেন দেশের ক্রিকেটে? উত্তরটা প্রথম দিনেই দিয়েছেন, বলেছেন, ‘দেশের ক্রিকেটের প্রেমে পড়ে গেছেন’ তিনি।
‘বিসিবি সভাপতি’ পদটা হয়তো তার জন্য নতুন কিছু নয়, তবে নতুন হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা। আগের সময়ে কাজ করেছেন মনোনীত প্রার্থী হয়ে, হাতেগোনা দুই-চারজনকে নিয়ে। তবে এখন অবস্থা ভিন্ন, বেড়েছে চ্যালেঞ্জ।
আমিনুল এবার বোর্ডে এসেছেন নির্বাচিত সভাপতি হয়ে। দেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে পুরো ২৫ সদস্যের দল পেয়েছেন তিনি, দায়িত্ব পালন করবেন আগামী চার বছর ধরে। ফলে সফলতা বা ব্যর্থতা মাপার সুযোগও থাকবে।
অবশ্য চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত আমিনুল। নির্বাচন শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। দেশের ক্রিকেট উন্নয়নের প্রেমে পড়ে গিয়েছি। স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম। সেটাই পরিকল্পনা ছিল।’
‘কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ শুরু করলাম ও সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি এবং সেই লক্ষ্যে আমার দেশকে আরো সার্ভ করার জন্য আমি রয়ে গেছি।’
শুধু কাজের চ্যালেঞ্জ নয়, আছে আরো নানা জটিলতা। যেমন বিসিবিতে সভাপতি পদে কোনো বেতন, পারিশ্রমিক নেই। ফলে আগামী চার বছর তাকে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হবে। যদিও আমিনুল বলছেন, ‘বুঝেশুনেই এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ সবসময় অনারারি ছিল। সেটার কোনো ব্যতিক্রম এখনো হয়নি। সে ব্যাপারে এখনো চিন্তা করিনি। ক্রিকেটটা একটা আমানত হিসেবে আমরা পেয়েছি।’
‘আইসিসির চাকরি আমি ছেড়ে এসেছি। তাই সেটা নিয়ে আর ভাবছি না। এখন ফোকাস শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দেয়া,’ যোগ করেন নবনির্বাচিত সভাপতি।
এদিকে, বিসিবি নির্বাচন ঘিরে বিতর্কের শেষ ছিল না। এমনকি অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, বয়কট করে সরে গেছেন। তাদের মাঝে অনেকেই আছেন, যারা দেশের ক্রিকেটের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।
এমতাবস্থায় আমিনুল নিজের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘দরকার হলে আমরা সবার কাছে যাব।’
আর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্যই এক। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেয়া। এখানে ক্ষুদ্র স্বার্থ গৌণ।’