ক্যাডার পদ হারানোর আতঙ্ক, হতে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (৩ অক্টোবর) : রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এতে পদ হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন এসব কলেজের শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা। এক হাজারের বেশি ক্যাডার পদ সংরক্ষণ এবং নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের দাবি তুলেছেন তারা। এই শিক্ষকদের পক্ষ নিয়ে গত ২৪ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের কাছে এ বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘‘আবেদনে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগসহ বেশ কিছু দাবি করা হয়েছে।’’
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা বলছেন, সাত কলেজের বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের এক হাজারের বেশি শিডিউলভুক্ত পদ হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন শিক্ষকরা। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশের পর থেকে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা দাবি করছেন, এতে সরকারি সাত কলেজের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়ে তারা বলেছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ চাওয়া মূলত চাপ তৈরি করা, যাতে রাজধানীর সরকারি সাতটি কলেজের ঐতিহ্য হারিয়ে না যায়। তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় হলে কলেজের ছাত্ররা দুপুর পর্যন্ত নিজ নিজ ক্যাম্পাস ব্যবহার করতে পারবে। তবে নিজস্ব ল্যাবরেটরি ব্যবহারের ক্ষমতা থাকবে না, যা সংঘাত তৈরি করতে পারে।
ইউজিসির কাছে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের লিখিত আবেদনে বলা হয়— ‘‘জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে গিয়ে ৩৫০টি শিডিউল পদ হারান বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডাররা। সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদগুলো যেন শিক্ষা ক্যাডারদের হাতছাড়া না হয়। এই সাত কলেজে শিক্ষা ক্যাডারের শিডিউলভুক্ত এক হাজারেরও বেশি পদ রয়েছে। এসব পদে শিক্ষা ক্যাডার থেকেই নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।’’
লিখিত আবেদনে আরও বলা হয়, ‘‘প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় যেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এফিলিয়েটেড বিশ্ববিদ্যালয় হয়। ভারতে কলেজের শিক্ষক হতে ন্যাশনাল এলিজিবিটি টেস্ট ইউজিসি নেয়, আর আমাদেরটা নেয় মন্ত্রণালয়, এটুকুই পার্থক্য।’’
বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন জানায়, কলকাতার লেডি ব্রেবোন কলেজ, লরেটো কলেজ, স্যার আশুতোষ কলেজের মতো বিখ্যাত কলেজ কখনও বিশ্ববিদ্যালয় হতে চায় না। এই কলেজগুলোর মান অনেক ভালো, কলেজগুলো কেবল পড়ায়, সনদ দেয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।’’
পাঠদানে নয়, সাত কলেজের সমস্যা ব্যবস্থাপনার
ইউজিসির কাছে আবেদনে বলা হয়, ‘‘ঢাকার এই সাতটি কলেজসহ সারা দেশের অন্যান্য বড় সরকারি প্রতিষ্ঠানেও শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা পড়াচ্ছেন এবং আগামীতেও পড়াবেন। মূলত সাত কলেজের সমস্যা পাঠদানে নয়, সমস্যা হচ্ছে ব্যবস্থাপনার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণেই কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয় হতে চাচ্ছে। কারণ রাজশাহী কলেজও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন, আবার গ্রামের কোনও কলেজও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন, কোনও পার্থক্য নেই। সুতরাং, শহরকেন্দ্রিক ঐতিহ্যবাহী কলেজ তো আলাদা হতে চাইবেই। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৪৯টি কলেজ আছে, আর আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রয়েছে প্রায় ২ হাজার ৯০০টি কলেজ। ফলে এটাকে বিশ্ববিদ্যালয় না বলে সস্তা সার্টিফিকেট বিতরণের এক বিশাল সাম্রাজ্য বলা ভালো।’’
উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিরোধ আতঙ্ক
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা জানান, সাত কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। সারা দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এই কলেজগুলোতে পড়ে। সুতরাং, আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই বিষয়টিকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করা হলে, সেটি সরকারের জন্য বিশাল ব্যয়ের চাপ সৃষ্টি করবে। একসঙ্গে চারটি লেয়ারে মানসম্পন্ন বিপুল সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ প্রায় অসম্ভব। একই প্রতিষ্ঠানে উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার জন্য আলাদা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা থাকলে তা জটিলতা সৃষ্টি করবে। এমনকি রিসোর্স শেয়ারিং নিয়ে প্রশাসনিক জটিলতা শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিরোধ সৃষ্টি করবে, যা সংঘাতে রূপান্তরিত হতে পারে।
সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হতে চান বিসিএস ক্যাডাররা
সূত্র বলছে, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন ইউজিসির কাছে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে জানায়, বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে— ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার থেকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ভিসি, প্রোভিসি, রেজিস্ট্রার পদে সরকার নিয়োগ প্রদান করবে। এর বাইরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশাসন ও পরিকল্পনা শাখা এবং শিক্ষা ক্যাডারের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া যায়। এই দাবি ইউজিসিকে জানানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শিক্ষকদের দাবি শিক্ষা ক্যাডারে বর্তমানে এমফিল, এমএস, পিএইচডি ও বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করা প্রায় তিন হাজার সদস্য রয়েছেন, যাদের প্রস্তাবিত নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানের জন্য পদায়ন করা যেতে পারে। এতে প্রতিবছর বেতন-ভাতা খাতে কয়েকশত কোটি টাকা সাশ্রয় হবে, যা সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
নারী শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে
জানতে চাইলে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান বলেন, ‘‘যখন অধ্যাদেশ জারি হয়নি, তখনই আমরা ইউজিসিকে লিখিতভাবে দিয়ে এসেছিলাম। তখনও আমরা অধ্যাদেশ দেখিনি। তবে নতুন করে আরও একটি আবেদন করেছি, যা পরে জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দিক থেকে প্রেসার ছিল, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে হোক। সেখানে আমরা যেসব দাবি করেছি, তা ছিল কৌশল। বিশ্ববিদ্যালয় তো একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে চলে। সেখানে আমাদের যারা যোগ্য শিক্ষক রয়েছেন, তারা আবেদন করতেই পারেন। আমাদের মূল বিষয় হচ্ছে—জগন্নাথে আমাদের ৩৫০টি ক্যাডার পদ হারিয়ে গেছে। এই সাতটি কলেজে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আসেন। আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। এখানকার সব শিক্ষার্থী তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবেন না। বিভিন্ন সেক্টরে যাবেন। অনেক সেক্টরের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছিল। একটি বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার পথ বন্ধ হবে।’’
‘শিক্ষা ক্যাডাররা বৈষম্যের শিকার হবে’
ড. মো. মাসুদ রানা খান বলেন, ‘‘শিক্ষা ক্যাডাররা নানা বৈষম্যের শিকার। পদ সৃষ্টি না হওয়ায় আমাদের পদোন্নতি হয় না। পদ সৃষ্টি কেন হয় না, কোনও কমিশনের রিপোর্ট, সচিব কমিটির সুপারিশ আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। সম্প্রতি পদ সৃষ্টির একটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, সেটিও বৈষম্যমূলক। তবু আমরা চাই সেটি হয়ে যাক। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ রয়েছে, অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজে পড়েন। নারী শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এ দুটি। এই কলেজ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংযুক্ত হলে— নারী শিক্ষায় পিছিয়ে পড়তে হবে। কারণ তখন সেখানে কো-এডুকেশন হবে। ঐতিহ্য হারাবে এ দুটি কলেজও। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে— এ দুটি কলেজে নতুন প্রায় সাড়ে তিনশত পদ সৃষ্টি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হলে তা হবে না।’’
সকালে কলেজ বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়
ড. খান বলেন, ‘‘দুটি কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, কলেজগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে হবে। অথচ সরকারের অধ্যাদেশে সকালে কলেজ, আর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এটা দুরভিসন্ধিমূলক। কলেজের পরিসরকে কীভাবে সীমিত করা যায়, নারী শিক্ষাকে সীমিত করা যায়, সেটাই করা হয়েছে। এছাড়া স্কুল সিস্টেমে যেসব সাবজেক্ট রাখা হয়েছে, সেখানে অনেক বিষয় বাদ পড়েছে। ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের ক্ষেত্রে বলা নেই যে শুধু নারী শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। অপরদিকে ঢাকা কলেজে কো-এডুকেশন চালু হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মাত্র ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হবে। এতে উচ্চশিক্ষা সীমিত করা হবে। সকালে ও বিকালে সময় নির্ধারণ করে সংঘাতের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের। উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা ১২টার মধ্যে ক্লাস শেষ করে বাসায় চলে যাবে। ফলে তাদের ডিবেট করা, ল্যাব ব্যবহার, কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ নস্যাৎ হয়ে যাবে।’’
ইউজিসির অবস্থান
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি স্বতন্ত্রভাবে পরিচালিত হবে। কলেজ প্রশাসন সম্পূর্ণ আলাদা থাকবে। সে কারণে অনার্স-মাস্টার্স ছাত্রদের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রদের সংঘর্ষ বাধার কোনও সুযোগ নেই। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত সংঘাত বাঁধাতে চায়, তাহলে তো বাঁধবেই। কলেজের শিক্ষার্থীরা ভর্তিতে কোটাও পাবে। কারণ কলেজের অবকাঠামোই তো বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করবে। যদিও সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করবে, এটি অধ্যাদেশে থাকার প্রয়োজন নেই। কারণ অধ্যাদেশ হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।
নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ বিষয় কমে গেছে- শিক্ষা ক্যাডারদের এমন দাবির প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘‘যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেসব বিষয় পড়তে হলে সাধারণ সব বিষয় পড়তে হয়। এটা সবার জানা। প্রথম দুই বছর তো সবাই কম কোর্স পড়বে। যিনি ম্যানেজমেন্ট পড়ছেন, তাকেও অ্যাকাউন্টিং পড়তে হবে। যিনি সমাজবিজ্ঞান পড়ছেন তাকেও তো বাংলা, ইতিহাস পড়তে হবে।’’
তিনি জানান, অধ্যাদেশ অনুযায়ী ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির সাতটি ক্যাম্পাসে চলবে চারটি স্কুল। সাতটি কলেজ ক্যাম্পাসকে স্কুল অব সায়েন্সেস, স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ, স্কুল অব বিজনেস স্টাডিজ এবং স্কুল অব ল অ্যান্ড জাস্টিস বিভক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীরা ডিসিপ্লিন পরিবর্তন করতে পারবে।
ইউজিসি জানায়, কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ যায়নি। কোনও একটি বিষয় বাদ গেলে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে— শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এমন দাবি আসলে একটি শ্রেণির রাজনীতি। জানা গেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ না থাকার বিষয়টিকে শিক্ষকদের একটি গ্রুপ নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন।