নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানোর অভিযোগ তদন্ত করছে কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (২৬ সেপ্টেম্বর) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ব্যালট অরক্ষিত অবস্থায় রাজধানীর নীলক্ষেতে ছাপানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছিলেন একাধিক প্রার্থী। প্রার্থীদের সেই অভিযোগ তদন্ত করছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘ব্যালট পেপার সংক্রান্ত যে অভিযোগটি উঠেছে, তা কমিশন অতীব গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত করছে। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে অধিকতর তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিশন সব বিষয়ে বিস্তারিত উত্তর দেবে।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ ঘিরে ১৫টি অভিযোগের জবাব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫-পরবর্তী বিভিন্ন অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় কমিশন গঠনতন্ত্রের ৬৯ নম্বর ধারার আলোকে ১৫টি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়ে বৃহস্পতিবার লিখিত জবাব দিয়েছে। বাকি অভিযোগ ও জিজ্ঞাসার বিষয়েও ক্রমান্বয়ে জবাব দেওয়া হবে।’

এর আগে, বিভিন্ন সময় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, রাজধানীর নীলক্ষেতে গাউসুল আজম মার্কেটে অরক্ষিত অবস্থায় ব্যালট ছাপানো হয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফররুখ মাহমুদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ডাকসুর ব্যালট পরীক্ষিত প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছাপিয়েছে, যা নীলক্ষেতের কোনো দোকানে ছাপানো সম্ভব নয়।’

এদিন দুপুরে মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি, প্রশাসনের পক্ষপাত এবং বিভিন্ন অনিয়মের প্রসঙ্গ এনে ১২ দফা অভিযোগ তোলে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু লিখিত আকারে ১২টি অভিযোগ সামনে আনেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে শীর্ষ তিনটি পদসহ ২৩টি পদে জয়ী হয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বাধীন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট এবং বাকি পাঁচ পদে জয় পান স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনের দিনই ভোটকে ঘিরে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট, প্রত্যাখান করে সরে দাঁড়ান অনেক প্রার্থী।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ