সিলেটে চোখ রাঙাচ্ছে বন্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক (সিলেটে), এবিসি নিউজ, (১৭ সেপ্টেম্বর) : উজানে ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও সিলেটে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। জেলার বাকি সব নদীর পানিও বাড়ছে। উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটের সুরমা কুশিয়ারা তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজশাহীতে চারটি গ্রামের কমপক্ষে ৪০ মিটার করে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এতে চর ছেড়েছে ১৫০ পরিবার। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমায় বাড়িঘরে ওঠা পানি নামতে শুরু করেছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন-

সিলেট : সিলেটের প্রধানতম নদী সুরমা ও কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০২২ ও ২০২৪ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ এখনো অনেক স্থানে যথাযথভাবে মেরামত হয়নি। বৃষ্টিপাত ও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বাঁধের এসব অংশ ভেঙে বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট অফিস জানায়, গতকাল বিকাল ৩টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ও কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে ৯৫ সেন্টিমিটার ও শেওলা পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

কুড়িগ্রাম : টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা ও দুধকুমর নদের পানি বেড়ে বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নদনদী অববাহিকার চর ও দ্বীপ চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল। এতে তলিয়ে গেছে সদ্য আমন খেতসহ শাকসবজি ও নানা ফসল। ফলে নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন এখানকার চরাঞ্চলের কৃষকরা।

রাজশাহী : রাজশাহীতে বিশাল পদ্মা পাড়ি দেওয়ার পর একখণ্ড চর। চর পেরোলেই ভারতীয় সীমানা। প্রায় ৩৬ বর্গকিলোমিটারের এই চরটিই চর আষাড়িয়াদহ। এটি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি ইউনিয়ন। প্রতি বছর নদীভাঙনের কারণে এ চরের ভূখণ্ড কমছে। এবারও চারটি গ্রামের কমপক্ষে ৪০ মিটার করে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ জন্য চর ছেড়েছে ১৫০ পরিবার।

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা কমেছে। এতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার যেসব বাড়ি-ঘরে পানি উঠেছিল তা নেমে যেতে শুরু করেছে। তবে আবার পানি বৃদ্ধির শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গতকাল সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ