তরুণ প্রজন্মই যুগে যুগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক (রাজশাহী), এবিসিনিউজবিডি, (২১ ডিসেম্বর) : সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লব, প্রতিটি যুগে তরুণ প্রজন্মই দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।

তিনি বলেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি সৃজনশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পরিচয় তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব, পরিকল্পনা এবং শিক্ষার মান বজায় রাখার কারণেই প্রতিষ্ঠার অল্প সময়ের মধ্যে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

শারমীন এস মুরশিদ আরও বলেন, উত্তরাঞ্চলের খরা, নদীভাঙন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যাগুলোর স্থায়ী সমাধানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পাঠ্যক্রমকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে পারে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে আরও বেশি নজর দিতে হবে।

এবারের সমাবর্তনে ২০২০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে ২০২৫ সালের স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৩৮৪ জন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়া কৃতিত্বপূর্ণ ফলের জন্য পাঁচজন শিক্ষার্থী চ্যান্সেলর ও ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক একরাম হোসেন।

অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে শারমীন এস মুরশিদ আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান করেন। এসময় সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা নিজ নিজ অনুষদের গ্র্যাজুয়েটদের একে একে উপস্থাপন করেন।

অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাস রঙিন আলো ও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ডিগ্রি হাতে পেয়ে অনেক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তারা এই সমাবর্তনকে তাদের শিক্ষাজীবনের একটি মাইলফলক এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে উদযাপনের একটি স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে অভিহিত করেন।

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ