ইসলামিক রাজনৈতিক দলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসি নিউজ, (৪ অক্টোবর) : কৌশলে বসানো ইসলামিক রাজনৈতিক দলের প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ সরকার। তারা কোনো দিকে হেলবে না, কোনো দিকে যাবে না। কিন্তু আজকে প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় একটি বিশেষ ইসলামিক রাজনৈতিক দলের লোকজনদের খুব কৌশলে নানাভাবে বসানো হচ্ছে, বসানো হয়েছে। তাদের দিয়ে কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। গুরুত্বপূর্ণ পদে এ সমস্ত বিশেষ রাজনৈতিক দলের মনোভাবপূর্ণ প্রশাসক দিয়ে কখনোই নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে দিবে না।
শনিবার (৪ অক্টোবর) সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এ্যাব) নেতাদের নিয়ে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জুলাইয়ের আন্দোলন এবং ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের যুগান্তকারী আন্দোলনের পটভূমি রচনা করেছেন, দূরে থাকলেও নেতৃত্ব দিয়ে গোটা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কিন্তু যুগ যুগ ধরে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বিনষ্ট বা ধ্বংস করার জন্য আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদীরা যেভাবে চক্রান্ত করেছে, সেই চক্রান্ত এখনো চলছে। তাদের চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য নানা মাস্টারপ্ল্যান এখনো করে যাচ্ছে। কিন্তু এদেশের জনগণ সবকিছু অন্ধকার দূরীভূত করে, সবকিছু অশুভ পরিকল্পিত চক্রান্তকে দূর করে জাতীয়তাবাদের পতাকা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকাকে নিশ্চিত করবে।
দুর্গাপূজায় ষড়যন্ত্র হয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ড. ইউনূস যখন প্রধান উপদেষ্টা হয়েছিলেন তখন সবাইকে সমর্থন করেছে। কিন্তু আজকে ভারতে অসুরের মূর্তি বানানো হয়েছে ড. ইউনূসের চেহারা ও মুখমণ্ডল দিয়ে। এগুলো তো অত্যন্ত নিম্নরুচির পরিচয়। এটা তো একেবারেই একটা অপসংস্কৃতির পরিচয়।
ফেব্রুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করে জনগণ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আশা করি, নির্বাচন কমিশন সেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন এবং জনগণ ভোট দিতে প্রস্তুত। সুতরাং নতুন কোনো ইস্যু তৈরি করে যারা মানুষের চোখকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন তারা জনগণের কাছে ধরা খেয়ে যাবেন।
এ সময় সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম তুহিনসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।