গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট প্রকল্প অনুমোদনে তোড়জোড়

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (৭ নভেম্বর) : ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের জন্য রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে ৮০৪টি ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রকল্পটি অনুমোদন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ সময়ে তোড়জোড় শুরু করেছে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ (জাগৃক)।

প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত স্থান নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ওই স্থানে বসবাসরতদের পুনর্বাসন করতে আরেকটি নতুন প্রকল্প নিচ্ছে জাগৃক। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বাড়বে ব্যয়ও। এতে অন্তর্বর্তী সরকারের শেষ সময়ে এ প্রকল্প আদৌ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

জানা গেছে, প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য চলতি বছরের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হলেও যথার্থ মূল্যায়নের অভাব ও সমন্বয়হীনতা রয়েছে এমন অভিযোগে বাদ দেয়া হয়। এবার নতুন করে অনুমোদন করতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তার অংশ হিসেবে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় বিষয়টি উঠলে ফের সমন্বয়হীনতা ও পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ডিপিপিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমঝোতা ও ফ্ল্যাট নির্মাণে বিধিমালা যুক্ত না থাকায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মিরপুরের নির্ধারিত স্থানে বসবাসরত বাসিন্দাদের পুনর্বাসন করতে প্রায় ৫৮২ কোটি টাকার আরেকটি প্রকল্প নিচ্ছে (জাগৃক)। এতে বাড়বে ব্যয়।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা যায়, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিতে চলতি বছরের শুরুতে ‘‌বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-২৪-এ শহীদ পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান প্রদানের নিমিত্তে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ৩৬ জুলাই আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের আওতায় শহীদ পরিবারের জন্য ছয়টি ১৪ তলা ও ১০টি ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। ৫ দশমিক শূন্য ৮ একর জমিতে এসব ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ফ্ল্যাট হবে ১ হাজার ৩৫৫ বর্গফুট আয়তনের। প্রকল্পটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। তবে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে পিইসি সভায়। ওই সভায় পরিকল্পনা কমিশন জানতে চায়, ১৯৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণে ‘‌বীর নিবাস’ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করলে জুলাই শহীদদের আবাসন প্রকল্প কেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় করবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর রয়েছে। তার পরও অন্য বিভাগের অধীনে প্রকল্প নেয়ায় প্রশ্ন তোলে ভৌত অবকাঠামো বিভাগ। ফলে সমন্বয়হীনতার প্রশ্ন উঠেছে। তবে সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব পাওয়া গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জুলাই অধিদপ্তরের সমন্বয় করা হয়েছে। তবে সমন্বয়ের চিঠি পাননি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তরসংশ্লিষ্ট কার্যক্রম) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, ‘‌মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে এমন কোনো চিঠি আমাদের অফিসে আসেনি। তবে জুলাই ফ্ল্যাট প্রকল্প সম্পর্কে জেনেছি।’

মন্ত্রণালয়টির জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শাখার মহাপরিচালক মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘‌পিইসি সভায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। সভায় মোটামুটি প্রকল্পটি অনুমোদন হয়ে গেছে। এখন একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আমাদের কনসার্ন রেখেই কাজ করা হচ্ছে।’ সমন্বয়টা কীভাবে হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে হয়েছে। ওপরের সিদ্ধান্ত কী হয়েছে সেটা আমি বলতে পারছি না।’

এ বিষয়ে পিইসি সভায় অংশ নেয়া পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন এক সদস্য বলেন, ‘‌জুলাই অভ্যুত্থানের অংশ হিসেবে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এটি করার কথা। কারণ ওই মন্ত্রণালয়ে তাদের একটি শাখাও আছে। তারাই প্রকল্প নেবে। তার পরে কারা বাস্তবায়ন করবে সেটা পরের বিষয়। আর সমন্বয় তো শুধু “‍‌হ্যাঁ” বললেই হয় না। এটার কিছু প্রসেস আছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব মানা হয়নি। সরকারি জায়গায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে, সেখানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রকল্প নিয়ে জাগৃককে দিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারে। আর প্রকল্পটি একবার বাদ দেয়া হয়েছে। এখন নতুন করে তোড়জোড় শুরু করেছে। তাহলে একনেকে বাদ পড়ার কারণগুলোও ডিপিপিতে উপস্থাপন করা দরকার ছিল।’

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো দুটি প্রশ্ন ওঠে পিইসি সভায়। অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের অনেকের পরিবার ঢাকার বাইরে থাকে। এক্ষেত্রে প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় কীভাবে তাদের আবাসন প্রদান করা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের ওই সদস্য জানান, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্পে ঢাকার বাইরের শহীদদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ এমন কিছু নেই। শহীদদের অনেকে রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, খুলনা অঞ্চলের। নিজ এলাকায় তাদের পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে, তারা সেগুলো ছেড়ে এখানে আসবে না। তাহলে তাদের জন্য আবারো নতুন প্রকল্প নেয়া হবে।

গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘‌জাগৃকের সঙ্গে ফাউন্ডেশনের আলোচনার ভিত্তিতে এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হবে। যারা ঢাকার বাইরের তারা ফ্ল্যাট বিক্রি বা ভাড়া দিতে পারবে।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘‌শহীদ পরিবারকে অবশ্যই ক্ষতিপূরণ ও একটি নিরাপদ আবাসস্থল দিতে হবে। তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে। এ প্রকল্পে নানাবিধ আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখা যাচ্ছে। দেখছি প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসস্থল ভাঙা হবে, পুনরায় পুনর্বাসন করা হবে। ওই জায়গা ভেঙে নতুন করে আবার আবাসন করা হবে। এটা একটিু দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব ছিল শহীদ পরিবারের জন্য প্রকল্পটির কাজ প্রথম দিকে শুরু করা। এখন আইনি, প্রশাসনিক বা আমলাতান্ত্রিক জায়গা থকে এটাকে এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন নতুন সরকার স্থগিত করতে না পারে। এর জন্য একটি কমিশন করতে হবে।’

এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নে নির্বাচিত জায়গায় ষাট ও সত্তরের দশক থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন রয়েছে। এ এলাকায় সরকারি ও আধা সরকারি কর্মচারীদের ৩৩টি চারতলা ভবনে ৬১৩টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট রয়েছে। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী। তবে সরজমিনে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, মোট ২০টি ভবনে ৬৪০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ ও গণপূর্তর কর্মচারীদের দুটি ভবনের ৬৪টি ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এসব ফ্ল্যাটে বসবাস করছে প্রায় ছয় হাজার বাসিন্দা। বসবাসরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ষাট-সত্তরের দশকে সরকারি কর্মচারীদের এসব ভবনের দুটি বেডরুমের ছোট ফ্লাট ভাড়া দেয়া হয়। পরে ১৯৯০ ও ২০১২ সালে ফ্ল্যাট বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিছু ভবনের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হলেও ১৮টি ফ্ল্যাট দেয়া হয়নি। ফলে ২০০৭ সালের পর আর কোনো ভাড়াই দেয়নি বসবাসকারীরা। পরে এসব ফ্ল্যাট অনুমোদন নিতে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রণালয় ও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও সমাধান করতে পারেনি তারা।

এ বিষয়ে আবুল হোসেন (ছদ্মনাম) বলেন, ‘‌দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে আমাদের পরিবার এখানে বসবাস করছে। আমার বাবা সরকারি কর্মচারী হিসেবে ফ্ল্যাট পায়। তখন থেকে আমরা বসবাস করছি। বিভিন্ন সময়ে আমাদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেয়ার কথা ছিল। সরকার অনেকবার উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু সেটি আলোর মুখ দেখেনি। সর্বশেষ ২০১২ সালে প্রায় ১৩ লাখ টাকার বিনিময়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল গণপূর্ত। সেখানে বসবাসকারীদের প্রতিনিধি, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্তর লোকজন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সিদ্ধান্তের বিস্তারিত আর প্রকাশ করেনি। ২০০৬-০৭ সালের দিকে একইভাবে আরেকটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেটাও আর এগোয়নি। যার কারণে আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। এর পর থেকে কোনো সমাধান সে সময় হয়নি। যার কারণে এর পর থেকে আর ভাড়াও দিইনি। তবে আমরা গ্যাস, বিদ্যুতের বিল নিজেরা দিই।’

আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘‌আমাদের বাবা-মা এখানে থেকেছে। আমাদের এনআইডি, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট সবকিছু এখানকার ঠিকানায়। এখন যদি আমাদের ছেড়ে যেতে বলা হয় তাহলে সেটা অমানবিক। মিরপুরে সরকারের অনেক জায়গা আছে, যেগুলোতে সরকার চাইলে ভবন নির্মাণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের সরিয়ে ভবন নির্মাণ করতে হবে কেন। যদি আমাদের সরিয়ে দেয় তাহলে সেটির প্রতিবাদ করব। আমাদের এখনো কিছু বলা হয়নি। তবে আমরা শুনছি এক মাসের মধ্যে নোটিশ আসবে।’

এদিকে বর্তমানে বসবাসরতদের সরিয়ে নিতে ও পুনর্বাসন করতে নতুন করে প্রায় ৫৮২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিচ্ছে জাগৃক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাগৃকের নির্বাহী প্রকৌশলী অলিউল ইসলাম জানান, এসব ভবনের অধিকাংশই বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ। ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের স্থায়ী বাসস্থান দিতে ভাড়াভিত্তিক ৩৩টি চারতলা ভবন অপসারণ করতে হবে। ওই স্থানে ‘৩৬ জুলাই’ প্রকল্পের পাশাপাশি স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষ এবং ওইসব ভবনে বৈধভাবে ভাড়াভিত্তিক বসবাসকারীদের প্রচলিত মূল্যে ফ্ল্যাট দেয়ার জন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় প্রস্তাব এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে শেষ সময়ে এসে অনুমোদনের তোড়জোড় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে। অনেকেই মনে করছেন, যথাযথ সমন্বয় ও পরিকল্পনা ছাড়া প্রকল্পটি অনুমোদন করা হলে তা ভবিষ্যতে আরো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‌জুলাই প্রকল্পটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু সময় ও বাজেট ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। শেষ সময়ে এসে প্রকল্প অনুমোদনের চেষ্টায় অনেক দিক ঠিকভাবে যাচাই করার সুযোগ থাকছে না।’

এ বিষয়ে জানতে জাগৃক চেয়ারম্যান ফেরদৌসী বেগমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানীতে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে একটি অভিন্ন মাস্টারপ্ল্যান থাকা জরুরি। বর্তমানে একাধিক সংস্থা নিজেদের মতো প্রকল্প গ্রহণ করছে। ফলে অনেক সময় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আরেকটি প্রকল্পের স্থাপনাকে উচ্ছেদ করতে হয়, যা সরকারি সম্পদের অপচয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘‌জুলাই শহীদের প্রতি সম্মান জানাতে হলে প্রকল্পটি আগেই নেয়া দরকার ছিল। এখন প্রকল্পটি নেয়া হলে কাজ শুরু করতে করতে সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তখন এটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে। আবার যে স্থানে বাস্তবায়ন করা হবে সেখানে যে লোকজন বসবাস করছে তাদের জন্য আবার প্রকল্প নিচ্ছে। তাহলে দুটি প্রকল্পে ব্যয় করতে হবে। এসব পরিকল্পনা অবিবেচনাপ্রসূত।’

 

 

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ