আশু বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার সংস্কারে ৬০ প্রস্তাব, সবগুলোই অকার্যকর

বিশেষ প্রতিনিধি, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১ নভেম্বর) : নির্বাচন পদ্ধতি, প্রশাসনিক কাঠামো ও কার্যাবলি সংস্কারে ১৮০টি সুপারিশ গত এপ্রিলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয় স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। এর মধ্যে ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ ৬০টি প্রস্তাব বাছাই করে মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি।

সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে কাজ করা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী আহসান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ৬০টি সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন যুগ্ম সচিবকে আহ্বায়ক করে কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্য হিসেবে কয়েকটি বৈঠকে অংশ নিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি সুপারিশও বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচনের তপশিল। তখন সবার মনোযোগ থাকবে নির্বাচনে। ফলে এসব সুপারিশ আলোর মুখ দেখবে কিনা, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।

ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের জন্য পাঁচটি আইন রয়েছে। শতাধিক অধস্তন আইন, অসংখ্য প্রজ্ঞাপনও রয়েছে। এগুলোকে স্থানীয় সরকার কার্যকর করার ক্ষেত্রে প্রধান বাধা বলে মনে করেছিল সংস্কার কমিশন। তারা পাঁচ আইনকে একীভূত করে একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছিল।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধ্যাদেশ হয়নি। ফলে এ প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই। সবগুলো নির্বাচন একসঙ্গে করারও সুপারিশ ছিল কমিশনের। এতে করে বারবার নির্বাচনের প্রয়োজন পড়বে না; খরচও কমবে। এখন সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে তোড়জোড় চলছে।

জনসংখ্যা ও আয়তন অনুপাতে ওয়ার্ডের সীমানা নির্ধারণের সুপারিশের কোনো অগ্রগতি নেই। বিচারিক কার্যক্রম ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নেওয়ার প্রস্তাব ছিল কমিশনের। ওয়ার্ডভিত্তিক সালিশি কাঠামো এবং উপজেলা পর্যায়ে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত প্রতিষ্ঠার সুপারিশ দিয়েছিল তারা। ৮০ শতাংশ মানুষ এটি চায়– এ বিষয়ে একটি জরিপের প্রতিবেদন যুক্ত করেছিল কমিশন। এটির মতো বর্তমান সরকারের আমলে করা যেত এমন কোনো সুপারিশ বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেই মন্ত্রণালয়ের।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ