ব্যক্তি বা দল ইসির টার্গেট নয়

nikরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ভোটার তালিকা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বাদ দেয়া নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, কোনো দল বা ব্যক্তিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা নির্বাচন কমিশনের ‘লক্ষ্য’ নয়।

রোববার জামায়াতে ইসলামের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করাই ইসির লক্ষ্য।”

জামায়াতের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার সিইসির কাছে ‘ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনী’ বিষয়ে লিখিত আবেদন জমা দেন।

এতে বলা হয়, ‘সংবিধান ও আইন বহির্ভূতভাবে’ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার যে সুপারিশ করা হয়েছে তা ‘সংবিধানবিরোধী ও মানবাধিকার পরিপন্থী’।
জসিম উদ্দীন আবেদনে বলেন, “বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনকল্পে অবিলম্বে এ অপিরণামদর্শী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার অনুরোধ করেছি।”

এ বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের জানান, আইনের আলোকেই নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা নিচ্ছে।“জামায়াত যে বক্তব্য দিয়েছে, তার আরো আইনি ব্যাখ্যা দিতে তাদের বলেছি। আমরা তাদের বলেছি- সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন করাই আমাদের লক্ষ্য। কাউকে বাদ দেওয়ার জন্যে কিছু করিনি। কোনো দল বা ব্যক্তিকে টার্গেট করে কিছু করি না আমরা। আইন মোতাবেক কাজ করতে হয় আমাদের।”

ভোটার তালিকা থেকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও দালালদের নাম বাদ দিতে গত সপ্তাহে কমিশনের সভায় আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, “ভোটার তালিকা আইন, ২০১৩ সংশোধনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। আইনে পরিণত হলে দণ্ডিত মানবতাবিরোধী অপরাধীরা (দালাল ও যুদ্ধাপরাধী) ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে, নতুন করে কোনো দণ্ডিত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না।”

উচ্চ আদালাতের রায় এবং পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী অনুযায়ী বিদ্যমান আইন সংশোধনের এই উদ্যোগ নেয় ইসি।

ইসির আইন সংশোধনের প্রস্তাব আইনমন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেলে তা পাসের জন্য জাতীয় সংসদে তোলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ