সৌদিতে আগুনে ৯ বাংলাদেশিসহ ১১ জনের মৃত্যু

Fire আগুনরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, রিয়াদঃ  সৌদি আরবের রিয়াদের শিফা সানাইয়া এলাকায় সোফা ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডে নয়জন বাংলাদেশিসহ মোট ১১ জন শ্রমিক পুড়ে মারা গেছেন।

এদের মধ্যে দুইজন ভারতীয় বলে জানা গেছে।

এ ছাড়া আরো দুইজনের ভাগ্যে কী ঘটেছে, জানা যায়নি।

ওই ফ্যাক্টরিতে মোট ১৫ জন শ্রমিক থাকতেন। এর মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় শ্রমিক।

সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আব্দুল হান্নান অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত নয়জনের মধ্যে সাতজনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন- মো. জালাল (৩৫), আ. গাফ্ফার (৩২), মো. সেলিম (৩৫),  বাহাউদ্দিন (৩১),  নাজির হোসেন (৩৫)। এদের সবার বাড়ি কুমিল্লা জেলায়।

এ ছাড়া নিহত জাকিরের (৫৫) বাড়ি ফেনী ও আফতাবের (৪৫) বাড়ি মাদারীপুর জেলায়।

ভারতীয় দুজন হলেন- ইসরার (২৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।

এদিকে, যারা জীবিত অবস্থায় বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন, তারা হলেন- কুমিল্লা হোমনার মতিউর (৩৫), মানিকগঞ্জের হান্নান মোল্লা (৩৪), কুমিল্লা তিতাসের দুলাল (২৭) ও রাজি উদ্দিন।

কুমিল্লা তিতাসের শাহ আলমও (২৭) ভেতরে আটকা পড়েন বলে আব্দুল হান্নান জানান।

প্রথমে প্রত্যক্ষদর্শীরা আটজন বাংলাদেশির মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করলেও বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মিজানুর রহমান কিছুই জানেন না বলে জানান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে নয় জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া যায়।

জানা গেছে, হিলা নামে ওই সোফা ফ্যাক্টরিতে মোট ১৫ জন কর্মচারী কাজ করতেন। এর মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয়।

ফ্যাক্টরিতে কর্মরত আব্দুল হান্নান জানান, নিহতরা সবাই ওই ফ্যাক্টরিতেই থাকতেন। কাজ শেষে বিশ্রামের জন্য তারা তখন সেখানেই অবস্থান করছিলেন।

তিনি জানান, যখন ফ্যাক্টরিটিতে আগুন লাগে তখন ১৫ জনের মধ্যে চারজন বের হয়ে আসতে পারেন। বাংলাদেশের ১৩ জন ও ভারতীয় দুইজন শ্রমিক আটকা পড়েন।

জানা গেছে উদ্ধার কর্মীরা মোট নয়জনের লাশ ফ্যাক্টরি থেকে বের করে এনেছেন। তবে সেগুলো চেনার কোনো উপায় নেই।

বৈদ্যুতিক শর্ট সাকিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতা শেষ হলে বলা যাবে মোট কতজন মারা গেছেন।

হিলা কোম্পানির সত্ত্বাধিকারী সৌদি হিলার কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কালিপুর গ্রামের রাজিউদ্দিন ‘তিতাস ফার্নিচার’ নাম দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

রাজিউদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ