নড়িয়ায় মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে প্রতারণা

Shoriyotpur শরীয়তপুররিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, শরীয়তপুরঃ শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের বাসিন্দা আঃ ওহাব খাঁ পিং ইউসুফ খাঁ ও আজগর খাঁ কথিত হত্যা মামলার আসামী এলাকায় এমন কোন অপরাধ কর্মকাণ্ড নেই যে না করে। শালিস বানিজ্য চাঁদাবাজি, নারী ব্যবসা, গাঁজা, ইয়াবা ব্যবসা করে চলেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ মানবাধিকার সোসাইটির শরীয়রতপুর জেলা শাখার সহ সভাপতির পরিচয় দিয়ে নানা মহলে চাঁদাদাবী করে আসছে এবং সহযোগী হিসাবে সাথে নিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী ভুয়া পারুল আক্তার জুলিকে। জুলি ৬ষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া এই মেয়ে কিভাবে মানবাধিকার সোসাইটির কর্মী হন তা বুঝা কষ্ট দায়ক। এই মেয়েটি হলো ওহাব খাঁর অপকর্মের প্রধান হাতিয়ার। এই জুলি এলাকার যুব সমাজও বিভিন্ন মানি সম্মানী লোককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচেছ হাজার হাজার টাকা দেন। এলাকায় ভালো ফ্যামিলির মেয়ে ও ইটালী প্রবাসীদের স্ত্রীদেরকে মোবাইল নং যোগাড় করে ইজ্জতের ভয় দেখিয়ে ব্লাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। গাঁজা হিরোইন ও ইয়াবার ব্যবসা ও তারা গোপনে চালিয়ে যাচ্ছে বলে লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে আঁতাত করে তিনি এই সমস্ত অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাঁর এলাকার একদিন মঞ্জুর সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে অপহরণ করে সখিপুরের ডি এম খালী গ্রামে তার আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে এবং তার উপর দৈহিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানি করে। মুক্তিপন স্বরূপ ২০,০০০ টাকা আদায় করে তাকে ছেড়ে দেয়। ড্রেজার চালক ইটের ভাটার মালিক নসিমন করিমন থেকেও তিনি চাঁদা আদায় করে থাকেন। একজন ৮ম শ্রেণী পাশা লোক কিভাবে সভাপতি হন তা বোধগম্য নহে। তিনি মানবাধিকার সমন্ধে কি জানেন কি বুঝেন? মানবাধিকার সোসাইটি কিভাবে তাকে কার্ড ইস্যু করেন তা ভেবে দেখার বিষয় এই সোসাইটি ৫০০ টাকার বিনিময়ে সে কাউকে কার্ড প্রদান করে সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র দিয়ে দেয়। তার ব্যাকগ্রাউন্ড বায়োডাটা না জেনে একজন মার্ডার মামলার আসামীকে মানবাধিকারের কার্ড দিলে তাঁর থেকে সমাজ ভালো কিছু আশা করবে কি করে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য তুলে ধরা হলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ