সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে কঠোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা রোববার পুলিশ হত্যা করে তিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক দুই জঙ্গিকে খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

এছাড়াও মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশের ভূমিকার জন্য কালো তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে পুলিশকে গুলি করে তিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্যাপক আলোচনা হয়। এতে দেশে জঙ্গিবাদের বর্তমান অবস্থা, দেশ থেকে জঙ্গিদের মূলউৎপাটন, জঙ্গিদের অর্থায়নকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান ও সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করার বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক সূত্র আরও জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৈঠকে তিনি বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে সারা দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে তিন জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন।

সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এবং আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

দুপুরে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, ‘মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ফলে মানিলন্ডারিং এর ধুসর তালিকা থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেক্টরের সম্পর্ক বাড়বে। বৈদেশিক বাণিজ্যের খরচ কমে যাবে। বৈদেশিক সহায়তা বাড়বে। বিভিন্ন দেশ ও দাতা সংস্থা এগিয়ে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘মন্ত্রিসভা ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৃক্ষ কর্তন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আংশিক শিথিল করেছে। দেশের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মন্ত্রিসভা ৪৯৮টি শাল বৃক্ষ কর্তনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।’

এর আগে ২০১২ সালের ৩১ অক্টোবর পাঁচ হাজার ৭০০টি গাছ কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ত্রিসভায়। সড়ক উন্নয়ন একই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতেই ওই সময় গাছ কাটা অনুমোদন দেওয়া হয়।

মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা আরও বলেন, ‘জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে জয়দেবপুর থেকে ম্ওায়া পর্যন্ত বন বিভাগের সংরক্ষিত প্রাকৃতিক বনের ৪৯৮টি গাছ কাটা বা অপসারণ করা হবে।’

তিনি জানান, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের দু’টি অংশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করছে। সেনাবাহিনী সড়ক উন্নয়নে ভাওয়াল গড়ে কিছু গাছ কাটার অনুরোধ করেছে। গাছ কেটে অন্য স্থানে সমান সংখ্যক গাছ রোপন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ