মামলা নিয়ে বিচারপতিকে মন্ত্রীর ফোন

সিনিয়র রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ব্যাংক ঋণ সংক্রান্ত  হাইকোর্টের মামলায় একজন মন্ত্রী তদবিরের জন্য বিচারপতিকে ফোন করায় শুনানি না করে হাইকার্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

সোমবার হাইকোর্টর বিচারপতি শরীফ উদ্দিন চাকলাদার ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হক এ সংক্রান্ত আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, এ মামলায় তদবিরের জন্য একজন মন্ত্রী টেলিফোন করেছিলেন। এজন্য মামলাটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। আইনজীবী আসাদুজ্জামান হাইকোর্টের এ আদেশের বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যথাযথ আদেশের জন্য ফাইলসহ মামলাটি প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়ে দেয় ওই বেঞ্চ।

বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনালের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের আরও বলেন, মামলার নথিতে দেখা যায়, মেসার্স বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী এসএমএ মুহিত ২০০২ সালে যমুন ব্যাংক থেকে ৭০ লাখ টাকা ঋণ নেন। পরে সুদসহ ব্যাংক ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু বরেন্দ্র ইন্টারন্যাশনাল দাবি করে, সুদসহ তাদেরকে মোট ৮৪ লাখ টাকা দিতে হবে।

দীর্ঘ এ সময়ে ওই বিরোধে উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতে একাধিক মামলা হয়। এরমধ্যে যমুনা ব্যাংক ১ কোটি ২০ লাখ টাকায় বন্ধকি সম্পত্তি বিক্রি করে দেয়। যার প্রকৃত মূল্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বলে ঋণগ্রহণকারীরা দাবি করে। এক পর‌্যায়ে নিম্ন আদালতের একটি আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন আবেদন আকারে মামলাটি হাই কোর্টে আসে।

তিনি বলেন, ওই আদালতে কয়েকদিন মামলাটি শুনানি করেছি। আজ শুনানির জন্য উপস্থাপনের পর ওই বেঞ্চ আবেদনটি পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেয়।

মন্ত্রীর ফোনের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, এর আগে তদবির হতে পারে, নাও হতে পারে। তবে তা প্রকাশ পায়নি। এই প্রথম কোনো মামলার তদবিরের বিষয়টি প্রকাশ করা হলো।

তিনি বলেন, বিচারপতির কাছে এর আগে কোনো মামলার বিষযে তদবির করা হয়েছে কি-না বা কবে কখন করা হয়েছে তা জানা নেই।

আসাদ বলেন, যদি জানতে পারি যে আমার মক্কেল তদবিরের জন্য ফোন করে থাকেন তাহলে আমিও  বরেন্দ্র কোম্পানির পক্ষে এই মামলা পরিচালানা করবো না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ