ফ্যাটি লিভার সমাধানে যে পানীয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসি নিউজ, ঢাকা (১২ অক্টোবর) : আপনার শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। শুধু হজমে সাহায্য করে তা নয়, আপনার শরীরকে বিষমুক্ত রাখাও তার কাজ। তাই আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় লিভারে চর্বি জমতে পারে। লিভারে জমা হওয়া এই ফ্যাট রক্তের মাধ্যমে পেশিতে পৌঁছায়। আর লিভারে অল্প পরিমাণে চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক। আর চর্বির পরিমাণ লিভারের মোট ওজনের ৫ শতাংশের বেশি হওয়া বিপজ্জনক। সে কারণে রোগ শনাক্তকরণ দেরি হলে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে ওষুধের ওপরেই ভরসা করা দস্তুর। তবে সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ড. সৌরভ শেঠি এমন তিন পানীয়ের কথা জানিয়েছেন, যা ফ্যাটি লিভারে বিশেষভাবে উপকারী। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনটি পানীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি।
প্রথমত গ্রিন টি পান ফ্যাটি লিভার স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। আর গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন নামক একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার কোষে হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। ইজিসিজি শরীরের বিপাকের হার বাড়িয়ে চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে লিভারে চর্বি জমার প্রবণতা কমে যায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা ফ্যাটি লিভার কমানোর প্রধান উপায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত চিনি ছাড়া ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে উপকার পাবেন।
দ্বিতীয় কফি পান। সাধারণত কফি লিভার ফাইব্রোসিস এবং চর্বি জমা রোধে সাহায্য করে। কফিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লিভার কোষের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে তাকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আর নিয়মিত চিনি ও দুধ ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করলে লিভারের এনজাইম উন্নত হয় এবং এটি লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে থাকে। সে কারণে দিনে অন্তত ২-৩ কাপ কফি পান উপকারী।
তৃতীয়ত বিটের রস পান করা। বিটের রসে থাকা বিটালাইন ও বিটেইন লিভার কোষকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। কারণ বিটের রস পিত্ত উৎপাদন বাড়ায় এবং চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সাহায্য করে। এর নিয়মিত সেবনে লিভারে চর্বি জমতে পারে না। এ ছাড়া লিভারের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়।