অগ্রহায়ণের শীত বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ে, ভোগান্তিতে নিম্ন আয়ের মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঠাকুরগাঁও), এবিসিনিউজবিডি, (২২ নভেম্বর) : অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি এসে ঠাকুরগাঁওয়ে শীতের প্রকোপ দৃশ্যমানভাবে বেড়েছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে চারপাশ। দিনের বেলায় রোদ মিললেও সন্ধ্যা নামতেই দ্রুত কমছে তাপমাত্রা। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন- যাদের অনেকেরই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য নেই।
এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়, অনেকেই ভোর সকালেই আগুন জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন।
সদরের রিকশাচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শীত এখনো পুরোপুরি নামেনি, তবু ভোরে কাজে বের হওয়া কঠিন। কম্বল নেই। সাহায্য পেলে খুব ভালো হতো।’
দিনমজুর রহিমা বেগমের অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতিবছরই শুনি কম্বল আসছে, কিন্তু অনেক সময় আমাদের কাছে পৌঁছায় না। শীত বাড়লে বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্ট হয়।’
শীত এলেই কম্বল অভাবের এমন চিত্র ঠাকুরগাঁওয়ে নতুন নয়। স্থানীয়দের দাবি- সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ থাকলেও তা সব মানুষের কাছে পৌঁছায় না। এদিকে শীত মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সরকার থেকে ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা ইতোমধ্যেই উপজেলা পর্যায়ে বণ্টন করা হয়েছে। শীতবস্ত্র কেনার কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে।
জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা বলেন, শীতবস্ত্র কেনার কাজ প্রায় শেষ। বস্ত্রগুলো পাওয়া মাত্রই আমরা দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করব। এরপরও যদি প্রয়োজন হয়, আমরা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে অতিরিক্ত শীতবস্ত্র দেবো।
এদিকে দেশের সামগ্রিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও শীতের প্রবণতা বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়াবিদ মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, শনিবার ও রবিবার রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। সোমবারও তাপমাত্রা কমার প্রবণতা থাকবে। চলতি মাসের শেষ দিকে দেশে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জেলা প্রশাসনের প্রত্যাশা- এই শীতে ঠাকুরগাঁওয়ের কেউ যেন কম্বলের অভাবে কষ্টে না থাকে। তবে স্থানীয়দের মতে, সঠিক তদারকি থাকলে সবচেয়ে অসহায় মানুষরাই বেশি উপকৃত হবেন।
মনোয়ারুল হক/
