বিতর্কিত ৩ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তলব করেছে ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (৬ নভেম্বর) : নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভুয়া ভোটে দায়ী কর্মকর্তাদের তলব করেছে। কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এই শুনানি ও তদন্তের মূল লক্ষ্য ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা।
চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে এই শুনানির দ্বিতীয় পর্ব। আগামী ৭ ও ৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় নির্বাচন তদন্ত কমিশনের সদস্য তাজরিয়ান আকরাম হোসেন ও ড. মো. আব্দুল আলীম শুনানি গ্রহণ করবেন। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলাদাভাবে উপস্থিত হওয়ার চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তদন্তে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং এজেন্টদের নাম চিহ্নিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। ২০২৪ সালের রিটার্নিং কর্মকর্তা ছিলেন তোফায়েল আহমেদ, তিনিও বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তারা বরিশাল ও কুমিল্লার বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে কর্মরত।
চট্টগ্রাম সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তলব ও শুনানি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে সুপারিশ তৈরি হবে।’
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, এসব শুনানি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করা হবে কোন পর্যায় থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, কর্মকর্তারা কি শুধুই চাকরির ভয়ে নীতি লঙ্ঘন করেছেন, নাকি ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সরকারের শীর্ষ ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশও করা হবে। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সরকার ভুয়া ভোটের আয়োজন করতে না পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই কমিশন সুস্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রস্তুত করছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, মূলত এমন শুনানি প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হবে। যার মূল লক্ষ্য তিনটি ভুয়া ভোটের আদ্যপান্ত খুঁজে বের করে এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা। একই সঙ্গে সরকারের কোন পর্যায় থেকে দিক নির্দেশনা এসেছিল। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কী শুধুই চাকরির ভয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছিলেন নাকি তারাও ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছিলেন এই বিষয়টি খুঁজে বের করবে কমিশন।
