স্টেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মালয়েশিয়ায় শিক্ষাসফর

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (২ নভেম্বর) : স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এসইউবি) একদল মেধাবী শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার ইন্তি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে দুই সপ্তাহব্যাপী শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়ভিত্তিক স্টুডেন্ট আউটবাউন্ড প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।

গত ২৪ অক্টোবর ইন্তি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রোগ্রামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী যাত্রা শুরু হয়। উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন ক্যাম্পাস ট্যুরে, সম্পন্ন হয় অফিশিয়াল ফটোসেশন এবং স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ইন্তির প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রতীকী পতাকা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে।

এসইউবির এই প্রোগ্রামে অংশ নেন মো. ইয়াহিয়া আরমান, আলামিন হোসেন, তাকি বিন মহসিন, ফারদিন আলম, দিয়া তারান্নুম, কামরুন নাহার পিয়া, ফাহমিদা খানম উম্মি, মাশরিহা ওয়াহিদ, সানজিদা মৌ, অর্চি, তামিম।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার নতুন দিগন্ত

তাকি বিন মহসিন বলেন, ‘ইন্তি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অংশ নেওয়া আমার জীবনের এক অনন্য অভিজ্ঞতা। বিভিন্ন দেশের অসাধারণ বন্ধুদের সঙ্গে পরিচয় এবং রোবোটিকস, এআই, বিজনেস ও লিডারশিপ বিষয়ে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে বিস্তৃত করেছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশে শেখার এই অভিজ্ঞতা আমার আত্মবিশ্বাস ও যোগাযোগ দক্ষতাকে বহুগুণ বাড়াবে। মালয়েশিয়ার সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আধুনিকতার মেলবন্ধন কাছ থেকে দেখার সুযোগও গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। সত্যি বলতে, এই প্রোগ্রাম আমার শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।’

এমন একটি আন্তর্জাতিক মানের কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। এখানে মালয়েশিয়া, চায়না, উজবেকিস্তান, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারছি এবং তাঁদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছি। একসঙ্গে রোবোটিকস, এআই, বিজনেস, মাস কমিউনিকেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতেকলমে ওয়ার্কশপ করার সুযোগও মিলেছে। এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান দিয়া তারান্নুম হোসাইন।

ফারদিন আলম বলেন, ‘সবচেয়ে বড় শেখাটা হলো ‘গ্লোবাল এক্সপোজার’। এখানে এসে বোঝা যায়, শিক্ষা শুধু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমৃদ্ধ করছে এবং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে কাজে লাগবে।’

স্টেট ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘ইন্তি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে শিক্ষার্থীরা এই প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করে অসাধারণ পারফর্ম করছে। প্রতিটি একাডেমিক ও কালচারাল সেশনে তারা সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছে। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও একাডেমিক বিনিময়ের নতুন দুয়ার খুলবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এটি শুধু শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈশ্বিক সংযোগ ও অগ্রগতির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ।’

শিক্ষার্থীদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডিশনাল রেজিস্ট্রার ফারহানা শারমিন এবং আউটরিচ অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক।

আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সংস্কৃতি বিনিময়

প্রোগ্রামে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চীনের জিয়ামেন নানইয়াং কলেজের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করছেন। একসঙ্গে শেখা, কাজ করা এবং সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁরা গড়ে তুলছেন বৈশ্বিক বন্ধুত্বের বন্ধন।

দুই সপ্তাহব্যাপী এ সফরে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন বিজনেস, রোবোটিকস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য সমসাময়িক বিষয়ের সার্টিফিকেট কোর্সে। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক নিদর্শন ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন, যা তাঁদের জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, এই প্রোগ্রাম শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি, পেশাগত দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য বাস্তবভিত্তিক অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এবং জীবনে নতুন আলো ছড়াবে।

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ