থ্রিজি লাইসেন্স পেল ৩ অপারেটর

3G BID নিলামরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ নিলামে ওঠা দামের প্রথম কিস্তি পরিশোধ করে তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার লাইসেন্স হাতে পেয়েছে তিন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণ ফোন, রবি ও এয়ারটেল।

টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বৃহস্পতিবার এই তিন অপারেটরের প্রতিনিধিদের হাতে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন।

তার কাছ থেকে লাইসেন্স নেন গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসাইন, এয়ারটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস টবিট এবং রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান।

বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অপারেটরদের উদ্দেশে চেয়ারম্যান বলেন, “গ্রাহকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ডেটা সার্ভিস পায়, এই সেবা যাতে সহজলভ্য হয়, সে বিষয়ে আপানারা খেয়াল রাখবেন।”

বর্তমানে গ্রাহকরা যেভাবে ডেটা সার্ভিস পাচ্ছে তাতে তারা সন্তুস্ট নয় বলেও মন্তব্য করেন বিটিআরসি প্রধান।

তিনি বলেন “থ্রিজি সেবায় ডেটা সার্ভিস যেন মানসম্সত হয়, সেজন্য প্রথম থেকেই অপারেটরদের সজাগ থাকতে হবে। থ্রিজি নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে আশা রয়েছে, শুরুতেই যেন গ্রাহকরা আগ্রহ হারিয়ে না ফেলেন।”

থ্রিজি ‘ট্যারিফ’ যেন সহনীয় হয় এবং গ্রাহরা যেন সহজেই তা ব্যবহার করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য অপারেটরদের দৃস্টি আকর্ষণ করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, ‘‘থ্রিজি সেবা নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে কোনো ধরণের প্রশ্ন থাকবে না বলে আশা করি।’’

এয়ারটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস টবিট বলেন “এয়ারটেল গ্রাহকদের মান সম্মত থ্রিজি সেবা নিশ্চিত করবে। কবে নাগাদ এয়ারটেল এ সেবা শুরু করবে তা শিগগিরই জানানো হবে।”

গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসাইন বলেন, “থ্রিজি সেবা শুরু করতে গ্রামীণফোন সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ঘোষিত সময় অর্থাৎ অক্টোবরের আগেই এ কাযক্রম শুরু করতে পারব আশা করি।”

রবির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘‘মান সম্মত থ্রিজি সেবা দিতে রবি কাজ করে যাচ্ছে। অক্টোবরের শুরুতেই রবি এ সেবা চালু করবে।”

গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত থ্রিজি তরঙ্গের নিলামে অংশ নিয়ে গ্রামীণ ফোন মেগাহার্টজ এবং বাংলা লিংক, রবি ও এয়ারটেল পাঁচ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে।

সে অনুযায়ী প্রতি মেগাহার্টজ ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দরে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য গ্রামীণ ফোন সরকারকে পরিশোধ করবে প্রায় ১ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। আর বাকি তিন অপারেটরকে দিতে হবে প্রায় ৮১৬ কোটি টাকা করে।

গ্রামীণ ফোন, রবি ও এয়ারটেল ইতোমধ্যে প্রথম কিস্তি হিসাবে ওই অর্থের ৬০ শতাংশ বিটিআরসিতে জমা দিয়েছে।

তবে বাংলালিংক এখনো প্রথম কিস্তির পুরো  টাকা জমা দেয়নি বলে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এবিসি নিউজ বিডিকে জানান।

তিনি বলেন, লাইসেন্সের জন্য কিছু আনুষ্ঠানিকতার কাজ চলছে। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই বাংলালিংক লাইসেন্স পাবে।

বিটিআরসির ঊধ্বতন এক কর্মকর্তা এবিসি নিউজ বিডিকে বলেন,  প্রথম কিস্তিতে ৫২৫ কোটি টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও বাংলালিংক ৩২১ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।

লাইসেন্স পেতে হলে বাংলা লিংককে আগামী ২৩ অক্টোবরের মধ্যে বাকি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

গ্রামীণ ফোন ও রবি ইতোমধ্যে জানিয়েছে, অক্টোবরের শুরুতেই নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় তারা এ সেবা চালু করবে তারা। গ্রাহকরা তাদের পুরনো সিমের প্যাকেজ বদলালেই এ সেবা পাবেন।

কোনো অপারেটর নয় মাসের মধ্যে দেশের সব বিভাগে থ্রিজি সেবা চালু করতে না পারলে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা গুণতে হবে বলে বিটিআরসি জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ