পদ্মার দরপত্রে আগ্রহ ৩ প্রতিষ্ঠানের

bnimgরিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে দরপত্রে অংশ নেয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন চার প্রতিষ্ঠানের তিনটিই তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র নথি (টেন্ডার ডকুমেন্ট) সংগ্রহ করেছে এবং একটি প্রতিষ্ঠান খোঁজ খবর নিয়েছে বলে প্রকল্পের পরিচালক সফিকুল ইসলাম সোমবার এবিসি নিউজ বিডিকে জানিয়েছেন।

‘দুর্নীতির’ তদন্ত নিয়ে জটিলতার পর বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়ে গত জুন মাসে পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র ডাকে সরকার। এতে অংশ নিতে চারটি প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা হয়।

এর মধ্যে চায়না জটিং মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রপ কোম্পানি লিমিটেড এবং ডেনিম ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেড দরপত্র নথি সংগ্রহ করেছে।

স্যামসাং সি অ্যান্ড টি কর্পোরেশন দরপত্রের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছে বলে জানান সফিকুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্য প্রতিষ্ঠানটি হল ভিঞ্চি-এইচসিসি জয়েন্টভেঞ্চার অব ইন্ডিয়া-ফ্রান্স।

দেশের বৃহত্তম এই নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পেতে ৭ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টম্বর বিকাল ৩টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেয়া যাবে। দরপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে অফেরতযোগ্য ১ লাখ টাকা।

৯ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় আগ্রহী দরদাতা বা তাদের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দরপ্রস্তাব খোলা হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের মতো সংস্থাকে বাদ দিয়ে সরকার নিজে এই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করায় অনেকের ধারণা, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি সংস্থাগুলো এতে আগ্রহী হবে না।

 

৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হবে রাজধানীর সঙ্গে। পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১.২ শতাংশ বাড়বে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।মহাজোট সরকারের অন্যতম এই নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এই অর্থবছরের বাজেটে ৬ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এ প্রকল্পের জন্য ইতোমধ্যে শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও মুন্সীগঞ্জে মোট দুই হাজার ৪৫২ একর জমি অধিগ্রহণ এবং ২৬০ একর জমি হুকুম দখল করা হয়েছে। জমির দাম বাবদ ক্ষতিগ্রস্তদের দেয়া হচ্ছে প্রায় এক হাজার ১৪ কোটি টাকা।

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে জানিয়েছিলেন, নদী শাসন, মাওয়া ও জাজিরা এপ্রোচ রোড, সার্ভিস এরিয়া, পুনর্বাসন, সুপারভিশন কনসালটেন্ট, কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড, টোল প্লাজা, ভূমি অধিগ্রহণসহ পদ্মা সেতু প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।

বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পদ্মা সেতু নির্মাণে ২০১১ সালে বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি হলেও পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিষয়টি ঝুলে যায়।

দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকার বিশ্ব ব্যাংককে ‘না’ বলে দেয়। সে সময় এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৯১ কোটি ডলার।

বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়।চীন ও মালয়শিয়া সেতু নির্মাণ করে দেয়ার বিষয়ে আলাদা বিনিয়োগ প্রস্তাব দিলেও সেগুলো সরকারের সায় পায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ