ভাগ্যশ্রীর কথা মনে আছে ?

বিনোদন ডেস্ক, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকা: ভাগ্যশ্রীর কথা মনে আছে? প্রথম ছবিতে ভাগ্য যাকে ১০০ ভাগ সমর্থন করেছে। ১৯৮৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেছিলেন সুন্দর মুখের লাজুক মেয়েটি। তোলপাড় হয়েছিল গোটা ভারত, এমনকি বাংলাদেশও। মূলত ওই সময়ে ভাগ্যশ্রীর বিপরীতে অভিনয় করে আজকের বলিউডের সুপার ডুপার অভিনেতা সালমান খান পরিচিতি পান। ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ বক্স অফিসে হিট হয়েছে বহু বছর হয়ে গেল।

মনে পড়ছে ভাগ্যশ্রীকে? সালমান খান এখনো প্রথম সারির নায়ক। দুঃখজনক হলেও সত্যি, প্রথম ছবিতে ভাগ্য সহায়ক হলেও ভাগ্যশ্রী সিনেমায় আর নিয়মিত হননি। অল্প কিছুদিন ছোট পর্দায় কাজ করলেও একসময় পুরোপুরি বিদায় জানান পর্দার দুনিয়াকে। পুরোদস্তুর সংসারী হয়ে যান ভাগ্যশ্রী। ভাগ্যশ্রীকে আর দেখা যায় না রুপালি পর্দায়। মিষ্টি হাসির এ অভিনেত্রী এখন দেখতে কেমন হয়েছেন, জানতে চাইলে শুনুন—এখনো আগের মতোই সুন্দরী ভাগ্যশ্রী। অভিনয় জগতে না থাকলেও এখনো কিন্তু দেখতে আগের মতোই আছেন। একটুও মোটা হননি বা বুড়িয়ে যাননি।
বেশ কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে কয়েকটি ছবি তিনি পোস্ট করেছেন। ভারতের গণমাধ্যম বোম্বে টাইমসকে একটি সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন সম্প্রতি। নতুন ছবি ও সাক্ষাৎকার স্মৃতিকাতর করছে ভক্তদের।
ভাগ্যশ্রী বলেছেন, সালমান খানের সঙ্গে এখনো মাঝেমধ্যে যোগাযোগ হয় তাঁর। জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। কোনো অনুষ্ঠানে দেখা হলেও কথাবার্তা হয়। সালমানের সঙ্গে আরও কোনো ছবি করা তাঁর হয়ে ওঠেনি। বললেন, প্রস্তাব এলেও পর্দায় সালমানের ভাবি হওয়ার ইচ্ছা নেই। কারণ, দর্শক কোনোভাবেই তাঁকে সেই ভূমিকায় গ্রহণ করবেন না।
প্রশ্ন করা হয়েছিল, যদি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ ছবিটি রিমেক হয়, তবে নিজের জায়গায় কাকে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন। উত্তরে প্রথমেই তিনি আলিয়া ভাটের নামটি উচ্চারণ করেন। ‘উড়তা পাঞ্জাব’-এ আলিয়ার অভিনয় তাঁর খুব ভালো লেগেছে বলে জানালেন ভাগ্যশ্রী। আর সালমানের জায়গায় রণবীর সিং কিংবা রণবীর কাপুরকে দেখতে চান তিনি। দুই রণবীরের প্রশংসাও করলেন।
‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’র সাফল্যের পর বেশ কিছু বড় ছবি করার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন, তাঁর স্বামী হিমালয় দাসানিকে নায়ক করলে তবেই সেই ছবিতে অভিনয় করবেন। ফলে পিছিয়ে যান প্রযোজকেরা। কেন আর বড় পর্দায় সেভাবে দেখা গেল না তাঁকে? ভাগ্যশ্রীর জবাব, তাঁর স্বামী হিমালয় তাঁকে নায়কদের সঙ্গে রোমান্স করতে দেখতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না। তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির কোনো সমস্যা না হলেও হিমালয় অসন্তুষ্ট হতেন। অথচ স্বামীকে তিনি পাগলের মতো ভালোবাসতেন। তাই খানিকটা বাধ্য হয়েই নিজেকে ছবির জগৎ থেকে সরিয়ে নেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ করার আগে থেকেই ভাগ্যশ্রীর বিয়ে হিমালয়ের সঙ্গে ঠিক ছিল। ছবি মুক্তির এক বছরের মাথায় ১৯৯০ সালে তাঁদের বিয়ে হয়ে যায়।
ভাগ্যশ্রী মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলির একটা রাজবংশীয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড়। ভাগ্যশ্রী অভিনয় শুরু করেন ছোট পর্দার ধারাবাহিক অমোল পালেকার পরিচালিত ‘কচ্চি ধূপ’ দিয়ে। এরপর ‘হোনি আনহোনি’ এবং ‘কিস্যা মিঁয়া বিবি কে’তেও অভিনয় করেন। ভাগ্যশ্রীর দুই সন্তান—মেয়ে অবন্তিকা দাসানি এবং ছেলে অভিমন্যু দাসানি। ছেলে অভিমন্যু মায়ের মতোই অভিনয় জগতে আসতে আগ্রহী। ভাগ্যশ্রী বর্তমানে স্বামী হিমালয়ের সঙ্গে একটা মিডিয়া কোম্পানির প্রোমোটারের কাজ করেন।
সূত্র: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ