ভারী বর্ষণ হলেই চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা যেন নিয়তি

নিউজ ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা: শুষ্ক মৌসুম অর্ধেক পেরিয়ে যাওয়ার পর চট্টগ্রাম মহানগরীতে শুরু হয়েছে খাল-নালা সংস্কার কাজ।

এবার এই কাজ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। তারাই নগরীর ১৬০ কিলোমিটার খাল ও নালা সংস্কার করবে। তবে শুরুতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে মাটি রাখা নিয়ে। কারণ, বেশিরভাগ খালের পাড়ই বেদখলে।

তাই কোথাও কোথাও খনন করা মাটি রাখতে হচ্ছে খালের ভিতরেই। যদিও সংশ্লিষ্টদের দাবি, দ্রুতই তারা এই মাটি সরিয়ে নেবে অন্য জায়গায়। ভারী বর্ষণ হলেই চট্টগ্রাম শহরে জলাবদ্ধতা যেন নিয়তি। এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় অনেক এলাকার সড়ক, বাসাবাড়ি আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। দু:সহ এই জলাবদ্ধতার জন্য মূলত দায়ী করা হয় পানি নিষ্কাশনের সব পথ ভরাট হয়ে যাওয়াকে।

তাই প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে খাল ও নালা নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। যা হয়ে আসছে সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায়। তবে এবার শুষ্ক মৌসুমের অর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর, ২৭টি খাল খননের কাজ দেয়া হয়েছে ঠিকাদারদের। এরই মধ্যে প্রধান খাল চাকতাইয়ে খনন কাজ শুরু হয়েছে। তবে খাল থেকে তোলা মাটি আবার খালের পাশেই রাখা হচ্ছে।

ফলে এই মাটি আবারও খালে মিশে যাওয়ার আশংকা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন ভিন্নকথা। খাল-নালা সংস্কারের এই কাজে পুরোপুরি সুফল পেতে হলে ঠিকাদারদের কাজ কঠোর তদারকির ওপর জোর দিলেন এই নগরপরিকল্পনাবিদ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যে নগরীর ৬০ কিলোমিটার খাল ও ১০০ কিলোমিটার নালা পরিষ্কার করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। নগরীতে খাল আছে ১৪৪ কিলোমিটার আর প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার আছে নালা-নর্দমা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ