প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক

প্রতিবেদক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা:  পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার সন্ধ্যায় গণভবনে শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও মহাসচিব এএসএম মাকসুদ কামালসহ ফেডারেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কয়েকজন নেতা উপস্থিতছিলেন। 
আন্দোলনরত শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেছেন, শিক্ষকরা তাঁদের দাবি-দাওয়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী দাবি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে ইতিবাচক ঘোষণা আসতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কি না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের অধ্যাপক ফরিদ বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করে আগামীকাল মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত জানানো হবে। 

এর আগে দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে গণভবনে আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় পিঠা-পুলির দাওয়াত আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আমন্ত্রণ পান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারাও। সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠকে করেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। 

এর আগে গণভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। যেখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ কয়েকশ বিশিষ্ট ব্যক্তি। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপভোগ করেন বিভিন্ন পরিবেশনা।

এর আগে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলন থেকে সরে আসবেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচি থেকে সরে আসার কোনো কারণ নেই।’ 

এদিকে, অষ্টম বেতন কাঠামোর বিষয়ে সুনির্দিষ্ট দুটি লিখিত প্রস্তাব গতকাল শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইনের কাছে দেন শিক্ষক নেতারা।

এ বিষয়ে ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল সাংবাদিকদের গতকাল জানান, সপ্তম বেতন কাঠামোতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গ্রেড ১ থেকে গ্রেড ৩-এ উন্নীত হওয়াসহ যে সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসতেন, তা বহাল রাখার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গ্রেড-১ থেকে কিছু সংখ্যক শিক্ষককে সিনিয়র সচিবের পদমর্যাদা দেওয়ার জন্যও প্রস্তাব করা হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ