বাংলাদেশকে সুযোগ

gspUSAনিউ ইয়র্ক রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ ‘শাস্তি’ নয়, বরং জিএসপি সুবিধা স্থগিতের মাধ্যমে শ্রমপরিবেশ উন্নয়নে বাংলাদেশকে সুযোগ দেয়া হলো বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রপ্তানিতে বাংলাদেশকে দেয়া বিশেষ সুবিধা স্থগিতের একদিন পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই দাবি করেন।

কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে অসন্তোষ থেকে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশকে দেয়া অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) স্থগিতের ঘোষণা দেন।

জিএসপির আওতায় বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধায় রপ্তানি করতে পারত, যদিও এর মধ্যে দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ছিল না।

বাংলাদেশের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরিচালক (প্রেস) প্যাট্রিক ভেনট্রেলকে।

তিনি বলেন, জিএসপি বাতিলের এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ, যাতে তারা কারখানার পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে পারে। আর এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রেরও সহযোগিতা থাকবে।

এক্ষেত্রে কারখানায় দুর্ঘটনায় প্রাণহানি এড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ এবং শ্রমিকদের দরকষাকষির সুযোগ দেয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।

তার এই বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের মধ্য থেকে একজন প্রশ্ন তোলেন- “আমি ভুল শুনছি না তো যে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে বাংলাদেশকে সুযোগ দেয়া হলো?”

তখন প্যাট্রিক ভেনট্রেল বলেন, ঠিকই শুনেছেন।

ওই সাংবাদিক তখন বলেন, তাহলে সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক?

প্যাট্রিক ভেনট্রেল তখন ‘হ্যাঁ’ সূচক ‍উত্তর দিলে ওই সাংবাদিক বলেন, “একটি দেশ বছরের বছরের পর বছর একটি সুযোগ পেয়ে আসছিল, হঠাৎ করে তা বন্ধ করে দিলেন।

“অর্থাৎ একটি শাস্তি দিলেন আপনি, কিন্তু বলছেন, এটা সুযোগ দেয়া হলো?”

“যদি ধরে নিই যে বাংলাদেশ একটি দ্রুতগামী গাড়ি, আর স্টেট ডিপার্টমেন্ট (যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর) একজন ট্রাফিক পুলিশ। দ্রুত গাড়ি চালানোর জন্য আপনি একটি টিকিট ধরিয়ে দিলেন, এখন তাকে আস্তে চালাতে হবে।”

তখন প্যাট্রিক ভেনট্রেল বলেন, “আমরা বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়ন চাই, তবে সেই সঙ্গে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশের উন্নয়নও চাই।”“ঠিক আছে; আমি আশা করব, বাংলাদেশ সানন্দেই আপনাদের দেয়া এই সুযোগ নেবে,” আলোচনার ইতি টানেন ওই সাংবাদিক।

জিএসপি সুবিধা স্থগিতের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনগুলো বলছে, এই সিদ্ধান্তের পেছনে ‘স্পষ্ট ও যৌক্তিক’ কোনো কারণ তারা দেখছে না।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংঘাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন চায়, তেমনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াও অব্যাহগত দেখতে চায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ