আবারো ইবিতে ছাত্রলীগের অবরোধ

IU ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, কুষ্টিয়াঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের নিয়োগের দাবিতে আবারো অবরোধ করেছে ক্যাম্পাস শাখা ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার সকাল ৮টায় গাড়ি অবরোধ করে প্রধান ফটকে তালা ও ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করে তারা। ভিসি, প্রো-ভিসি অফিস করতে পরেনি। গাড়ি সমূহ না আসায় অচল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের সেভেন সিস্টার গ্রুপ নামে খ্যাত সাবেক কমিটির মো. আশিকুর রহমান জাপান, তৌফিকুর রহমান হিটলার, মাহমুদুল হাছান লেলিন, টিটু, কাশেমসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত নেতা-কর্মীদের নিয়ে গত সোমবার রাতে ক্যাম্পাসের বাস অবরোধ করে এবং পরের দিন ক্যাম্পাসে কোন প্রকার গাড়ি প্রবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা মেইন গেইটে নেমে যেতে বাধ্য হয়। পরে সহকারি প্রক্টর মো. আলতাপ হোসেন পুলিশি পাহারায় ছাত্রীদের হলে পৌঁছে দেয়।

মঙ্গালবার সকাল সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইটে তারা অবস্থান নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে ভিসি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে সামনে অবস্থান করে এবং প্রধান ফটকে বিক্ষোভ মিছিল করে । তাদের অবরোধের মুখে ভিসি, প্রো-ভিসি কেউ অফিস করতে পারেনি।

বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন কুষ্টিয়া হতে পুলিশ পাহারায় সকাল ১০টায় শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কয়েকটা গাড়ি আনলেও ঝিনাইদহ হতে কোন গাড়ি আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বাস ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম ছিল প্রায় স্থবির। এ অবস্থায় অধিকাংশ বিভাগেই ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি।

এদিকে চাকরীর দাবিতে সাবেক নেতৃবৃন্দের এমন কার্যক্রমে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীদের মাঝে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অপর দিকে চাকরী প্রার্থী নেতাকর্মীরাও তাদের চাকরীর ব্যাপারে বর্তমান নেতৃবৃন্দের ওপর আস্থাহীনতায় ভুগছে। চাকরীকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের মাঝে আভ্যন্তরীণ কোন্দল ও ক্ষোভ বৃদ্ধি পাওয়ায় যে কোন মুহুর্তে ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

চাকরী প্রত্যাশী এসকল নেতা-কর্মীরা ২০১২ সালে প্রায় সাত মাস ক্যাম্পাস অচল করে রাখে। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ ভবনে পার্কিং করা একটি গাড়িতে রাতের অন্ধকারে পেট্টোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় প্রায় প্রতি মাসেই প্রধান ফটকে তালা, অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুরসহ চাকরী প্রার্থীরা নানা কর্মকাণ্ড করে চলছে।

ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবুজার গিফারী গাফফার বলেন, ‘এধরনের কাজের সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ছাত্রলীগ এসব কাজে সমর্থন করে না।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘তাদের দাবি মেনে নেওয়া হবে না। নির্দিষ্ট সময়ে সিন্ডিকেট অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ