জিএসপি ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ শর্তের ১৩টি পূরণ

রিপোর্টার, এবিসি নিউজ বিডি, ঢাকাঃ  সরকার রপ্তানি খাতকে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেধে দেওয়া ১৬ শর্তের ১৩টি পূরণ করা হয়েছে। বাকি ৩টি শর্ত আগামী মে মাসের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হবে।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৬টি শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ১২ জানুয়ারি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে শর্ত পূরণের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এই ১৬ শর্তের ১৩টি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি ৩টি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে এই শর্ত পূরণ হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাকি ৩টি শর্তের মধ্যে গার্মেন্ট শিল্প পরিদর্শনে ২০০ জন পরিদর্শক নিয়োগের বিষয় নিয়ে সোমবার মন্ত্রিসভায়ও আলোচনা হয়েছে। এ পরিদর্শক নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে করতে হলে দু’বছর সময় লাগবে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে শিগগিরই ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় শর্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯টি পোশাক কারখানায় শ্রমিক নির্যাতনের যে বিষয়টি বলা হয়েছে এটার তদন্তে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এ বিষয়ে ১৯টি পোশাক কারখানার মালিকদের ডেকে সাবধান করা হয়েছে। একইসঙ্গে এর পুর্নাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, তৃতীয় শর্তটি হচ্ছে ইপিজেড এ  ট্রেড ইউনিয়ন করার বিষয়। শ্রম আইন অনুযায়ী, ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আগে এটা আইনে ছিল না। সে কারণে আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। এপ্রিলের মধ্যে ট্রেড ইউনিয়ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের গার্মেন্ট শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে সমাদৃত। পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। আমাদের মনে রাখতে হবে বিদেশেও আমাদের প্রতিপক্ষ আছে। সেজন্য সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে দেশের স্বার্থের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের রাজনৈতিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। আর সে কারণে অনেক বিদেশী বিনিয়োগকারী আগ্রহী হয়েছে। এ অবস্থা বিরাজ করলে বর্তমান রপ্তানি আয় ৩০.৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে পারবো। আগামী ৫ বছরে রপ্তানি আয় ৪০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়ে যাবে। বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে হলে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Leave a Reply

Facebook
%d bloggers like this:
ব্রেকিং নিউজ