ভোটের মাঠে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (২৩ ডিসেম্বর) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একযোগে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদানের দাবি উঠেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব ও মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যাও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ডিসি-এসপি, সব রেঞ্জের ডিআইজি, বিভাগীয় কমিশনার এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এক সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুলিশ সুপাররা (এসপি) নির্বাচনি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার নানা চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে আসামি গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হলেও মাঠপর্যায়ে যানবাহন ও জনবলসংকট বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইদিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে বলে তারা উল্লেখ করেন।
এসপিরা বলেন, নির্বাচনের দিন অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে পুলিশের সহায়তা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীদের সম্পৃক্ত করা হলে কাজ সহজ হবে। পাশাপাশি আগের নির্বাচনগুলোর তুলনায় পুলিশের জন্য বরাদ্দ বাজেটে বৈষম্যের কথা তুলে ধরে এবারের নির্বাচনে বাজেট বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
সভায় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, মাঠে দ্রুত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়ানোর পাশাপাশি সীমিত পরিসরে হলেও পুলিশকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া প্রয়োজন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) জানান, মাঠপর্যায়ে এখনও বৈধ অস্ত্র রয়েছে, যা দ্রুত উদ্ধার করা জরুরি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন তারা। দুর্গম ও দূরবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা তদারকিতে হেলিকপ্টার সুবিধার প্রয়োজনীয়তার কথাও সভায় উঠে আসে।
ডিসিরা আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আইনের বাইরে কোনো কাজ করা হবে না বলে তারা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় সহিংসতায় সরকারি যানবাহন পুড়ে যাওয়ায় সেখানে নতুন গাড়ির প্রয়োজন, গণভোটের প্রচারের সময়সীমা বাড়ানো এবং সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়েও সভায় গুরুত্ব দেওয়া হয়।
মনোয়ারুল হক/
