নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের প্রকাশ্য অপতৎপরতা, নাশকতার চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক (শ্রীপুর, মাগুরা), এবিসিনিউজবিডি, (১৩ ডিসেম্বর) : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতা-কর্মী আবার এলাকায় প্রকাশ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপসিল ঘোষণার পর থেকেই তাদের তৎপরতা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় এসব সন্ত্রাসীরা নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। ওই ঘটনায় মাগুরার পারনান্দুয়ালী ব্রিজে ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি নিহত হন।

ফ্যাসিস্ট নেতার মদদে নাশকতার চেষ্টা এবং এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক সূত্র দাবি করছে, এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিগত ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের’ আমলে বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের জনসম্মুখে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চলছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, এ পরিস্থিতির পেছনে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী মহিলা লিগের সভাপতি স্বর্ণালি জোয়ারদার রিয়া, উপজেলা যুব লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তোয়েব খা গংদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। তাদের ধারণা, পরিকল্পিতভাবে উত্তেজনা সৃষ্টি করে বিএনপির সক্রিয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয়দের দাবি, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় এবং রাজনৈতিকভাবে কাউকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে টার্গেট করা না হয় সেই লক্ষ্যে দ্রুত প্রশাসনিক তদন্ত প্রয়োজন।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার সাহেব আলী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের কয়েকজন ওয়ার্ড নেতা বর্তমানে বিএনপির মিছিল ও ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন, যা দলের জন্য ক্ষতিকর।

এছাড়া স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের দাবি, শ্রীপুর যুবলীগের এক নেতার নেতৃত্বে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্র চলছে, যার মাধ্যমে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাশকতাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মনোয়ারুল হক/