ঠোঁট ফাটা দূর করার উপায়

লাইফস্টাইল ডেস্ক, এবিসিনিউজবিডি, ঢাকা (১০ ডিসেম্বর) : শীত নিয়ে আসে ত্বকের কিছু সমস্যা। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম ঠোঁট ফাটা। তাপমাত্রা কমতে থাকার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা কমতে থাকে। তাই শীতে আমাদের ঠোঁট ফেটে যায়। ঠোঁটে মরা চামড়া সৃষ্টি হয়, ঠোঁট দেখায় নিষ্প্রাণ।

ঠোঁটে কোনো তেলগ্রন্থি নেই। ঠান্ডা বাতাসে, এমনকি ঘরের তাপমাত্রায়ও ঠোঁট পানিশূন্য হয়ে যায়। জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজালে, পর্যাপ্ত পানি না খেলে এসব সমস্যা আরও বাড়ে। ভয়ের কিছু নেই।

সঠিকভাবে সঠিক উপকরণ ব্যবহার করে ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। মেনে চলতে হবে কিছু অভ্যাস। তাহলে শীতজুড়েই আপনার ঠোঁট থাকবে কোমল ও উজ্জ্বল।

মরা চামড়া এক্সফলিয়েট করুন
কোমল ঠোঁটের জন্য আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত এক্সফলিয়েশন করতে হবে। এক্সফলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করতে হবে একটি ভালো মানের লিপ স্ক্রাব। ঘরোয়াভাবেই লিপ স্ক্রাব তৈরি করা যায়। মধু ও চিনি মিশিয়ে লিপ স্ক্রাব তৈরি করতে পারেন।

এ ক্ষেত্রে চিনি ও মধুর অনুপাত হতে হবে ১: ১। চাইলে অলিভ অয়েলও মেশাতে পারেন। সে ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। এই লিপ স্ক্রাব সপ্তাহে অন্তত এক দিন ব্যবহার করা প্রয়োজন।

প্রতিবার এক মিনিট ধরে লিপ স্ক্রাব দিয়ে ঘষে ঘষে ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া এক্সট্রা সফট টুথ ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটের মরা চামড়া তুলে ফেলতে পারেন। প্রতিবার এক্সফলিয়েশনের পর ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না।

এতে ঠোঁট মোলায়েম হবে। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করা ঠোঁটে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ঠোঁট খুব ভালোভাবে সেটি শুষে নেবে। খুব ঘন ঘন এক্সফলিয়েট করবেন না। সপ্তাহে দুই দিন এক্সফলিয়েট করাই যথেষ্ট। অতিরিক্ত এক্সফলিয়েশনের ফলে ঠোঁটে অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।

ঠোঁট বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন

নিয়মিত ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করুন
ঠোঁটে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে। শিয়া বাটার, নারকেল তেল কিংবা কোকো বাটার-সমৃদ্ধ লিপ বাম ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো। এসব উপাদান প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট কোমল করে।

ভিটামিন ই এবং বিজওয়াক্স ঠোঁটের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফেটে যাওয়া ঠোঁট সারিয়ে তুলতেও উপাদান দুটি কার্যকর। দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার ঠোঁটে লিপ বাম দিতে হবে। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে। এটি ঠোঁটে পুষ্টি জোগাতে খুবই প্রয়োজন।

পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খান
শীতকালেও আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেতে হবে। পাশাপাশি গ্রিন-টি খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের ও ঠোঁটের পানিশূন্যতা দূর হবে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ঠোঁটে তার চিহ্ন ফুঁটে ওঠে।

বাইরে বের হওয়ার আগে এসপিএফ-যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঠোঁট ঠান্ডা বাতাস ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা পায়। বাইরের অতিরিক্ত ঠান্ডায় খসখসে হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ঠোঁট স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন।

বদভ্যাস এড়িয়ে চলুন
জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো, দাঁত দিয়ে কামড়ানো, খুঁটতে থাকা, ঠোঁটের চামড়া তোলা—এসব বদভ্যাস বাদ দিতে হবে। এসব করলে ঠোঁট আরও শুকিয়ে যায়, ফাটা সহজে সেরে ওঠে না।

এসব নিয়ম মেনে চললে শীতকালেও আপনার ঠোঁট থাকবে কোমল ও মসৃণ।

সূত্র: উইকিহাউ

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Facebook
ব্রেকিং নিউজ