ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করবে এনবিআর
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), আলোকিত সময়, (৯ ডিসেম্বর) : প্রতি বছরের মতো এ বছরও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আগামীকাল ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস এবং ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করবে। নিবন্ধনকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘সময়মতো নিবন্ধন নেব, সঠিকভাবে ভ্যাট দেব।’
এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত দেশব্যাপী বিশেষ নিবন্ধন ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে, যার লক্ষ্য ১ লাখ নতুন ভ্যাট নিবন্ধন প্রদান। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, বিগত অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মোট আদায়ের ৩৮ শতাংশই ভ্যাট খাত থেকে এসেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি ভ্যাট আদায় হয়েছে। ভ্যাট আদায় ব্যবস্থাপনা জোরদার করা গেলে ভ্যাটের আদায় আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের আর্থিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে।
চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ কর্তৃক পরিশোধিত রাজস্ব দিয়ে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত, সড়ক ও রেল অবকাঠামো উন্নয়ন, ঋণ পরিশোধ, সামাজিক সুরক্ষা, কৃষি, বিদ্যুৎ ও শিল্পখাতে ভর্তুকিসহ নানামুখী জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি জানান, ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে- যেমন অনিবন্ধিত ব্যবসা, পূর্ণাঙ্গ অটোমেশনের অভাব, রেয়াত-শৃঙ্খলা কার্যকর না হওয়া, অতিরিক্ত অব্যাহতি, ম্যানুয়াল অডিট ব্যবস্থা, ই-কমার্স ও উদীয়মান ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভ্যাট সংগ্রহে সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাজস্ব ব্যবস্থাকে আধুনিক ও ডিজিটালাইজড করতে অনলাইন নিবন্ধন, অনলাইন রিটার্ন দাখিল, ই-সহগ, অনলাইন পেমেন্ট, ই-রিফান্ড, ই-অডিট, ভ্যাট স্মার্ট চালান এবং ভ্যাট ফাঁকি রোধে ‘রিস্ক–বেসড অডিট’ সিস্টেম চালুসহ বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করদাতাদের স্বেচ্ছায় কর প্রদান নিশ্চিত করা এবং কর ফাঁকি কমানোই এনবিআরের প্রধান লক্ষ্য। একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ ভ্যাট ব্যবস্থা অপরিহার্য। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রচেষ্টার পাশাপাশি দেশের সর্বস্তরের ভোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পমালিক এবং গণমাধ্যমের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
মনোয়ারুল হক/
