রাজনৈতিক কোনো সুবিধা না নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ইসির কঠোর নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (২৭ নভেম্বর) : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের থেকে থাকা-খাওয়াসহ কোনো ধরনের সুবিধা না নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ইসি সচিব আখতার আহমেদ।

তিনি জানান, নির্বাচনকে সামনে রেখে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইসি সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যত্যয় বা শিথিলতা বরদাশত করা হবে না।

নিরাপত্তা প্রস্তুতি চূড়ান্ত:
তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচনি এলাকার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা, বাহিনী মোতায়েন এবং মনিটরিং কাঠামো চূড়ান্ত করতে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, স্বরাষ্ট্র সচিব, ইসি সচিবসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হবে লিড মিনিস্ট্রি:
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিড মিনিস্ট্রি হিসেবে নির্বাচনকালীন সম্পূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা পরিচালনা করবে। একইসঙ্গে ইসি তার নিজস্ব মনিটরিং সেলের মাধ্যমে নিরাপত্তার অগ্রগতি ও মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।

সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নয়:
ইসি সচিব জানান, সেনাবাহিনী কীভাবে এবং কোথায় মোতায়েন থাকবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে মাঠে নির্বাহী ক্ষমতা নিশ্চিত করতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার বহাল থাকবে।

আচরণবিধি মনিটরিংয়ে কঠোরতা:
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আচরণবিধি কঠোরভাবে মনিটর করা হবে বলে জানান সচিব আখতার আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কেউই আচরণবিধির বাইরে যেতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

ইসি সূত্র বলছে, মাঠপর্যায়ে অস্থিতিশীলতা এড়াতে নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিতকরণ ও তা পর্যবেক্ষণে পৃথক টিম গঠন- এসব বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই এই নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

মনোয়ারুল হক/

Leave a Reply

Facebook
ব্রেকিং নিউজ