৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা পাওয়া যাবে : ইসি সচিব
নিজস্ব প্রতিবেদক (ঢাকা), এবিসিনিউজবিডি, (২৬ নভেম্বর) : আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
তিনি জানান, সেই তালিকার ভিত্তিতে কমিশন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবে এবং সব প্রস্তুতি সময়মতো সম্পন্ন হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
আখতার আহমেদ বলেন, ব্যালট বাক্স, লক, সিল, গালা, কালি ও অমোচনীয় কালিসহ প্রয়োজনীয় সব নির্বাচনী সামগ্রী ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। শেষ মুহূর্তের চাপ এড়াতে এসব সরঞ্জাম আগেভাগে ১০টি জোনাল অফিসের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হবে।
ইসি সচিব জানান, সরকারি প্রিন্টিং প্রেসে পর্যাপ্ত কাগজ মজুত রয়েছে এবং কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রচলিত সাদা ব্যালট পেপারের পাশাপাশি এবার গণভোটের জন্য রঙিন ব্যালট পেপার ব্যবহার করা হবে। রঙিন কাগজে কালো প্রিন্টে ব্যালট ছাপানো হবে যাতে ভোটাররা সহজে দেখতে পারেন।
এবার প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এছাড়া সরকারি চাকরিজীবী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মী ও আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তিরা ‘ইন-কান্ট্রি পোস্টাল ব্যালট’-এর মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। বিদেশে পোস্টাল ভোটের নিবন্ধন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এবং আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। নিবন্ধন কার্যক্রম আটটি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে উত্তর আমেরিকায় ভালো অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। একই খামে সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের দুই ধরনের ব্যালট পাঠানো হবে। গণনার সময় আলাদা করার সুবিধার্থে গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রঙের।
ইসি সচিব আরও জানান, বিভিন্ন স্তরের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সব প্রস্তুতি সময়মতো সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, দেশের ইতিহাসে দুটি বিশেষ মুহূর্ত দেখা যাবে— একটি প্রবাসীদের পোস্টাল ভোট এবং দ্বিতীয়টি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তবে ভোটার, রাজনৈতিক দল এবং মিডিয়ার ইতিবাচক সাড়া আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ইনশাল্লাহ, আমরা সবাই মিলে এই দুই চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, দুই ভোট একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে যদি প্রয়োজন হয় ২৯ নভেম্বর একটি মক রিহার্সাল হবে এবং এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গণভোট বিষয়ে সরকারের প্রচারণা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ নজরুল জানান, সরকার ও নির্বাচন কমিশন আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ব্যাপক প্রচারণা চালাবে, যাতে জনগণ গণভোটের বিষয়টি সঠিকভাবে বুঝতে পারে।
মনোয়ারুল হক/
